মাদারীপুরে দুই স্কুল ছাত্রী হত্যার একদিন পেরিয়ে গেলেও তার রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া এবং হ্যাপির পরিবারে এখন শুধুই কান্না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাদের। স্বজনদের আহাজারীতে ভারি হয়েছে উঠেছে মস্তফাপুর ইউনিয়ন।
ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সুমাইয়া এবং হ্যাপির স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের বখাটেরা তাদের উত্যক্ত করে আসছিলো। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়ে নিষেধ করা হয়েছিলো। এরই জের ধরে তাদের ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যার করা হয়েছে।
পুলিশ ও সিআইডি তদন্তে নামলেও অভিযুক্ত প্রভাবশালী বখাটেদের এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শুক্রবার সকালে একই গ্রামের রানার মা সালমা বেগম এবং মেহেদির মা রহিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর মস্তফাপুর গ্রামের মানুষ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। শুধু নিহতদের স্বজনরাই নন মস্তফাপুর গ্রামের মানুষ এবং সুমাইয়া-হ্যাপির সহপাঠীদের এখন একটাই দাবি, হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।