চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দুই খুনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের ৮ জন খালাস

নোয়াখালীতে এক মোবাইল ব্যবসায়ী ও তার কর্মচারী খুনের দায়ে বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল, জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রায় ঘোষণা করেন। আদালত তার রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন তারা হলেন: মোফাজ্জল হোসেন জাবেদ, জাফর হোসেন মনু, আলি আকবর সুজন, শামছুদ্দিন ভুট্টু, সাহাব উদ্দিন, নাছির উদ্দিন মঞ্জু, আবু ইউসুফ সুমন ও তোফাজ্জল হোসেন জুয়েল। আর হাইকোর্ট যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে তারা হলেন: পলাতক কামরুল হাসান প্রকাশ ওরফে সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন প্রকাশ। এদের বিচারিক আদালতে দ্রুত আত্মসমর্পন অথবা গ্রেপ্তার করতে রায়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুস সবুরের দণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মোহাদ্দেসুল ইসলাম টুটুল। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আশরাফুল হক জর্জ, শাহীন আহমেদ খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা পারভীন ফ্লোরা।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া রায়ের পর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্ট বলেছেন আইন ও সাক্ষ্য যথাযথ ভাবে বিবেচনা না করে বিচারিক আদালতের এরকম  ঢালাও মৃত্যুদণ্ডাদেশ অপ্রত্যাশিত।’

২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালী শহরের ‘মোবাইল ফেয়ারের’ মালিক ফিরোজ কবির মিরণ ও তার কর্মচারী সুমন পাল নগদ ১৩ লাখ টাকা ও কিছু মোবাইল ফোন সেট নিয়ে রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। একপর্যায়ে পথে সন্ত্রাসীরা তাদের দুজকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে খুন করে মরদেহ সড়কের পাশে ফেলে যায়। ঘটনার পরদিন নিহত মিরনের বাবা এবি সিদ্দিক বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ এ মামলায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এ এন এম মোরশেদ খান ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর বাকি ১০ আসামিকে খালাস দেয় আদালত। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারন্স হাইকোর্টে আসে। অপরদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিল করে দণ্ডিত ৭ আসামি। সেই ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।