চট্টগ্রাম থেকে: ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে নেই স্বাগতিক বাংলাদেশ। ম্যাচের আগেরদিন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাই উত্তাপ কম। স্থানীয়দের মাঝে খুব কম মানুষই জানেন সোমবার এখানে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের শিরোপার লড়াই। তবে মুমিনুল-নাসিররা ফাইনালে উঠলে নিশ্চয় অনুশীলন দেখতেও মাঠে জড়ো হতেন দর্শকরা!
রোববার বিকাল ৫টা থেকে অনুশীলন করার কথা থাকলেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান দল হোটেল থেকে মাঠে পৌঁছায় দেরিতে। যদিও ক্রীড়া সাংবাদিকরা মাঠে ঠিক সময়েই। ক্রিকেটারদের দেখা না পাওয়ায় কারো মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে এই মাঠেই ফাইনাল তো? বিসিবির মিডিয়া কর্মকর্তার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেল ফাইনাল এ মাঠেই, অনুশীলনের জন্য রওনা হয়েছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
দিনের আলো কমছে তখন। পাকিস্তান দল অনুশীলনে আসতেই জ্বলে উঠল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। শ্রীলঙ্কা দল মিডিয়া সেশন শেষ করে ততক্ষণে মাঠের পশ্চিমকোণে ঘাম ঝরাচ্ছে।
ড্রেসিংরুমে ব্যাগ রেখে খুড়িয়ে খুড়িয়ে মাঠে ঢুকলেন গ্রুপ পর্বে টানা দুই সেঞ্চুরি করা ইমাম-উল-হক। গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে খেলতে পারেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। রোববারও অনুশীলন করতে পারেননি। খানিকসময় শ্যাডো করে ড্রেসিংরুমে গিয়ে সতীর্থদের অনুশীলন দেখেছেন। তবে ম্যাচ শুরুর আগ পর্যন্ত এই ইনফর্ম ব্যাটসম্যানকে পেতে অপেক্ষা করবে পাকিস্তান।
অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান জানালেন, ‘ও আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। দারুণ ফর্মে আছে। সকালে বোঝা যাবে ওর কি অবস্থা। আমরা অপেক্ষা করবো। ইমাম যদি খেলতে নাও পারেন তার অভাব পুষিয়ে দেবেন অন্য ওপেনাররা।’
স্থানীয়দের কাছে এই ফাইনালকে ঘিরে আগ্রহ না থাকলেও দুই দলের অধিনায়কের কণ্ঠে ঝরল লড়াইয়ের সুর। শিরোপা জিততে দু’দলই যে মরিয়া থাকবে তাও বেরিয়ে এল অধিনায়কদের প্রত্যয়ে।
লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো পেরেরা বলে গেলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ফাইনাল জেতার। টুর্নামেন্টে আমরা যেভাবে খেলে এসেছি সেটি খুব ভালো ছিল। যে পরিকল্পনা করেছি তাতেই সফল হয়েছি। সেটি করতে পারলে ফাইনাল আমরাই জিতবো। আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলব এবং সেটি ম্যাচের প্রথম বল থেকে।’
আফগানদের বিপক্ষে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন রিজওয়ান। ফর্মে থাকা পাক অধিনায়ক ফাইনাল নিয়ে বললেন, ‘দুটি দলই সেরা ক্রিকেট খেলে ফাইনালে উঠেছে। ওরা কালকের ম্যাচে ১০০ ভাগ দিলে আমরা ১১০ ভাগ দেব। কোন দল যদি জিততে থাকে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতেই এখানে এসেছি, ইনশাআল্লাহ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দেশে ফিরব।’
দিবা-রাত্রির ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে সোমবার দুপুর ২টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস-১ ও গাজী টিভি।