এই খবরের শিরোনাম দেখে কেউ ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করতেই পারেন- এটা আবার কীভাবে হয়? ফাইনাল ম্যাচ পরপর দুইদিন বাস্তব, নাকি ভুল করে লেখা? প্রশ্নগুলো মোটেও অস্বাভাবিক নয়। তবে আসরের নাম এক হলেও ইভেন্ট আলাদা। মূলত এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে চেলসির ছেলে ও মেয়েদের দুই টিমই ।
রোববার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-০ গোলে হারিয়ে চেলসির ছেলেরা ফাইনালের টিকেট কেটেছে। একই দিন আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে চেলসির মেয়েরাও।
ছেলেদের ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। ৬৫ মিনিটে ব্লুদের এগিয়ে দেন রুবেন লোফটাস-গাল। ১১ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাসন মাউন্ট।
মেডো পার্কে আর্সেনালকে ২-০ গোলে পরাজিত করে চেলসির মেয়েরা। এই ম্যাচেও গোলশূন্য ছিল প্রথমার্ধ। ৫০ মিনিটে গুরো রিটেনের গোল করেন। ১১ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটি করেন জি-সো ইউন।
আগামী ১৪ মে ছেলেদের শিরোপা লড়াইয়ে চেলসির প্রতিপক্ষ লিভারপুল। পরদিন ১৫ মে ম্যানচেস্টার সিটির মেয়েদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে ব্লুরা।
চেলসির অস্তিত্ব টিকে থাকাই এখন সংশয়ে। চরম সংকটে পতিত হয়েও মাঠের খেলায় কি লড়াকু মনোভাবটাই না দেখিয়ে যাচ্ছে দলটি।
ক্লাবটির উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ব্লুজরা নতুন খেলোয়াড় দলে নিতে বা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারছে না। বর্তমানে ক্লাবটিতে যারা খেলছেন, তাদের সঙ্গে করা যাবে না চুক্তি নবায়ন। এমনকি ম্যাচের টিকেটও বিক্রি করতে পারবে না চেলসি।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চেলসির ক্লাব শপ। তাদের জার্সির স্পন্সর মোবাইল ফোন কোম্পানি থ্রি অস্থায়ীভাবে ৫২ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্থগিত করেছে। চেলসির কিট বানানো ক্রীড়া পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি ১৫ বছরের চুক্তির ইতি টানার কথা ভাবছে। ২০১৬ সালে চুক্তিটি হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, ভ্রমণ করার সময় ইংলিশ জায়ান্টরা ২০ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় করতে পারবে না। টিভি সম্প্রচার ও পুরস্কার বাবদ অর্থ তারা পেতে থাকবে। আপাতত সেগুলো জব্দ করা রয়েছে। তবু যেন ব্লুরা দমে যাওয়ার পাত্র নয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায় চেলসি মালিক রোমান আব্রমোভিচের সম্পদ জব্দ করে রেখেছে যুক্তরাজ্য সরকার। ক্লাব বিক্রির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আগেই দিয়েছেন এই রুশ ধনকুব।