গত ম্যাচে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে জিততে পারলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা মৌসুম শেষের আগেই ঘরে তুলতে পারত ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু হোসে মরিনহোর দলের কাছে ২-৩ গোল হেরে যায় সিটিজেনরা। তবে শনিবার রাতে আবারও ছন্দে দেখা গেল পেপ গার্দিওলার দলকে। তাতে জয়ও এসেছে। বিখ্যাত ওয়েম্বলিতে টটেনহ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার অনেকটা কাছাকাছি চলে গেছে ম্যানসিটি। শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতে জিতলে আর কোনো হিসাব ছাড়াই শিরোপা নিশ্চিত হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে লিভারপুলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হারের পর ম্যানইউ কাছেও হার। এক সপ্তাহে টানা তিন হারে দুঃস্বপ্নের ঘোরে ঢুকে গিয়েছিল ম্যানসিটি। দুঃস্বপ্নের সপ্তাহ শেষে আবার ছন্দে ফিরে নিজেদের প্রমাণ করল জায়ান্টরা।
বল দখল থেকে শুরু করে সব কিছুতেই পুরো ম্যাচেই প্রভাব বিস্তার করে সিটি। টটেনহ্যামের খেলোয়াড়েরা গোলমুখে শট নিয়েছিলেন মাত্র ৮টি। আর সিটি শট নিয়েছে ১৭টি। লক্ষ্যে ছিল ৬টি শট। যেখানে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যে ছিল তিনটি।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই গোল করে সিটি। ২০ মিনিটে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেন সিটির স্টার্লিং-গুন্ডোগান। তবে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ২২ মিনিটে ভিনসেন্ট কোম্পানির দুর্দান্ত পাস থেকে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসাস। দ্বিতীয় গোলের জন্যও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সিটিজেনদের। ২৫ মিনিটেই ইকাই গুন্ডোগান পেনাল্টি থেকে গোল করলে স্কোর হয়ে যায় ২-০।
প্রিমিয়ার লিগে ৫৯ ম্যাচে প্রথমবারের মতো পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছে সিটি। ২০১৬ সালে নভেম্বরে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে শেষবার পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রতিপক্ষ ম্যাচের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান কমাতে মরিয়া টটেনহাম একের পর এক আক্রমণ করেও ব্যর্থ হয়। যদিও প্রথমার্ধেই গোলের দেখা পায় টটেনহাম। ৪২ মিনিটে ব্যবধান কমান টটেহ্যামের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন।। দলের হয়ে শেষ চার ম্যাচের সব কটিতেই গোল করলেন এরিকসন।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশ কিছু ভালো সুযোগ পায়। কিন্তু টটেনহ্যামকে বারবার বেকায়দায় ফেলছিল সিটির আক্রমণভাগ। ৬৩ মিনিটে জেসাস এবং ৬৫ মিনিটে সুযোগ মিস করেন স্টার্লিং। ৬৯ মিনিটে পরপর দুটি সুযোগ হাতছাড়া হয় টটেনহ্যামের। তবে ৭০ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে (৩-১) জয় নিশ্চিত করে সিটিজেনরা।
৩৩ ম্যাচে ২৮ জয় ও তিন ড্রয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৮৭। ১৬ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিভারপুল ৩৪ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে। ৩৩ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে টটেনহ্যাম হটস্পার।