দেশে ফিরে মাঠে নামতে তর সইছিল না সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলামের। সোমবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে নেমে পড়েন অনুশীলনে। ক্রাইস্টচার্চের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে মঙ্গলবারই তারা নেমে পড়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে।
এ দুজন ছাড়াও ভয়াবহ সেই ঘটনার সাক্ষী হওয়া তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন নেমেছেন চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে।
টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাস গেছেন গ্রামের বাড়িতে। মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল আগেই সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা লিগ না খেলার। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফিটনেস নিয়ে বাড়তি কাজ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় লিগের খেলোয়াড় তালিকা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন তারা।
টেস্ট দলের বাকি ক্রিকেটাররা বুধবার নামবেন নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা থেকে ভাগ্যের ছোঁয়ায় রক্ষা পান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। জুম্মার নামাজ আদায় করতে হ্যাগলি ওভাল স্টেডিয়াম থেকে মসজিদের সামনে পৌঁছাতে কয়েক মিনিট দেরি না হলে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার জন্ম হতে পারত। ঝরে যেতে পারত ক্রিকেটারদের প্রাণ।
মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার সময়টাতে ভাগ্যক্রমে নিরাপদে সরে আসতে সক্ষম হন ক্রিকেটাররা। কিছুক্ষণ পরই জানা যায় রক্তে ভেসে গেছে পুরো মসজিদ। বন্দুকধারীর গুলিতে অর্ধশত মানুষ নিহত হয়। আহত হয়েছেন অনেকেই।
ঘটনার পর তৃতীয় টেস্ট না খেলেই ক্রাইস্টচার্চের টিম হোটেলে নির্ঘুম রাত কাটান ক্রিকেটাররা। পরে ২২ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণ শেষে টেস্ট দলের ১৫ ক্রিকেটার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।
নৃশংস ঘটনার কযেকদিন পরও ক্রিকেটারদের চোখেমুখে দেখা গেছে আতঙ্কের ছাপ। যা কাটিয়ে উঠতে তারা নেমে পড়েছেন ব্যাট-বলের লড়াইয়ে।