ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) টি-টুয়েন্টি আসরে মোহামেডানের অনুশীলনে জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। শুনানিতে অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছে ক্লাবটি। কোনো শাস্তি অবশ্য পেতে হল না। কেবল ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেই শাস্তি এড়িয়েছে মোহামেডান।
ডিপিএল আয়োজক কমিটি সিসিডিএম মোহামেডানের অনুশীলনে জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙার অভিযোগ তদন্ত করেছে। মঙ্গলবার যার শুনানি হয়েছে। বুধবার সিসিডিএম’র চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ ভিডিও বার্তায় সেটির ফল জানিয়েছেন।
‘আমরা বিসিবি ও সিসিডিএম থেকে শুনানি করেছি। মোহামেডান ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা ছিলেন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছিলেন, ম্যানেজার ছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক, সুরক্ষা বলয় ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তারাও অবগত, তারা এটা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য মোহামেডানকে নোটিশও দেবে সিসিডিএম। যদিও শুরুতে কঠোর শাস্তির কথা জানানো হয়েছিল।
গত ৪মে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, মোহামেডানের দলীয় অনুশীলনে কেউ বায়ো বাবল ভেঙেছেন। তখন কারো নাম অবশ্য উল্লেখ করেনি বোর্ড। সাদা-কালোদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সেদিন মিরপুরে ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছিলেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেদিন জানায়, কীভাবে করোনাকালীন রীতি ভাঙা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন।
ডিপিএল আয়োজক কমিটি সিসিডিএম’র চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘এই খবর আমাদের হতাশ করেছে। বিসিবি ও সিসিডিএম বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। আমাদের কাছে প্রতিটি দল, খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাই সবার আগে গুরুত্ব পেয়ে থাকে। বায়ো সিকিওর বাবল, দলের আবাস তৈরিতে আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছি।’
‘যে বা যারা ভেঙেছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব এবং ভবিষ্যতে যেন আর এমন ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থাও নেব।’