নিজেদের শক্তি ও প্রতিপক্ষের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পুরোপুরি স্পিনে ঝুঁকে পড়ার কৌশল এনে দিচ্ছে সাফল্য। মিরপুর টেস্টে পেসার ছাড়াই খেলেছে বাংলাদেশ। কন্ডিশন বিচারে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও একজন পেসার হিসেবে ব্যাপারটিকে ‘দুঃখজনক’ বলছেন রুবেল হোসেন।
‘একটু তো দুঃখজনক। একটা পেস বোলার না নিয়ে আমরা টেস্ট খেলছি, আমাদের কন্ডিশন, উইকেট ওইরকম ছিল। আমাদের দেশের মাটিতে সফল হয়েছি। টিম প্ল্যানিং হয়তো ওভাবেই ছিল। আর পেস বোলারদের জন্য একটু তো খারাপ লাগেই।’
রুবেল নিজে পেস বোলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে একাদশে কোনো পেসার না দেখায় তার খারাপ লাগা স্বাভাবিকই। ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে স্পিনারদের আধিপত্যের ব্যাপারটি মেনে নিচ্ছেন গতির বোলাররা। তবে ওয়ানডে সিরিজে যে উল্টোচিত্র দেখা যাবে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন রুবেল।
‘আসলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটে সবসময় স্পিনাররাই রাজত্ব করে আসছে। আর পেস বোলাররা আমরা সবসময় ওইরকম সাফল্য পাচ্ছি না। ওয়ানডে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা সংস্করণ। একদিনের খেলা, যারা যেদিন যত কম ভুল করবে, তারা তত ভালো খেলে। এটা পরিবর্তন করার কিছু নেই। টেস্ট(স্পিননির্ভর) আর ওয়ানডেতে(পেসনির্ভর) যেভাবে খেলে আসছি, আমার কাছে মনে হয় ঠিকই আছে।’
‘ওয়ানডেতে পেসাররা ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে এবং জিতিয়েছেও। যদি দেখেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। এই কন্ডিশনেও অবশ্যই জেতাতে পারবে। ওয়ানডেতে উইকেট স্পিন সহায়ক থাকবে না, যেভাবে টেস্টে ছিল। আমাদের যে পেস বোলাররা আছে, এই কন্ডিশনে অবশ্যই ম্যাচ জেতাতে পারবো।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন মাত্র দুই পেসার। মোস্তাফিজ ও খালেদ। তবে ওয়ানডের জন্য মাশরাফী, রুবেল, মোস্তাফিজ, আবু হায়দার, সাউফউদ্দিনরা আছেন। স্কোয়াডে পাঁচ পেসার। সংখ্যাটাই বলে দেয় সাদা বলে বাংলাদেশের নির্ভরতা পেসাররাই। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়াবে ৯ ডিসেম্বর, মিরপুরে।