দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৮১তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। নতুন ১৮ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৭২৮ জনে।
এর আগে গতবছরের ১৬ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ৩ হাজার ৭৩৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৫ হাজার ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৫৫৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৬৩ হাজার ২৬১টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৮৩৫ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৪ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ছয় জন নারী। তাদের মধ্যে ১৭ জনের হাসপাতালে ও একজনের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা আট হাজার ৭৩৮। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৬০৭ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং দুই হাজার ১৩১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দুই জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয় জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১০ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন ও রংপুর বিভাগে এক জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৪৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১০ কোটি তিন লাখের বেশি।