চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভারতে পাচার হওয়া নারী সোলমা দেশে

ভারত থেকে দীর্ঘ এক বছর পরে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া বাংলাদেশের নারী সোলমা বেগম। ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ উদ্ধার করার পর থেকে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। সোমবার বেলা ১১টায় তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ।

সোলমার মামলা সমাধানে পুলিশ, সুশীল সমাজ ও বিচার ব্যবস্থার অনন্য সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

২০১৫ সালের এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গের আমারবাগ জেলার সারতী গ্রামে পাওয়া যায় সোলমাকে। এরপর মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ হিসেবে মূল্যায়ণ করা হয়। সোলমার দুরবস্থার খবর ভারতীয় গণমাধ্যমেও প্রকাশ পায়। তার গল্পে সীমান্তের উভয় পাশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অনেক নির্দোষ বেসামরিক নাগরিকের মর্মান্তিক দুরবস্থা প্রকাশ করে।

সোলমার তথ্যমতে তার মতো আরো অনেকেই ভারতের বিভিন্ন জেলে বন্দী রয়েছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তারা দেশে ফিরতে পারছে না। দেশে ফিরে সালমা বলেন, ‘এখানে(ভারত) যাওয়া সহজ কিন্তু ফেরা কঠিন।’

উদ্ধারের পর সোলমার কাউন্সিলিং করা হয়। সুস্থ হয়েই সে তার পরিবারকে দেখতে চায়। যে আশ্রয় কেন্দ্রে সোলমা ছিল, সেই কেন্দ্রের প্রধান কাউন্সিলর তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে, এরপর বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিস ট্রাস্ট(বিএলএএসটি) যোগাযোগ করে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের (সিএইসআরআই) সঙ্গে।

সোলমা দেশে ফেরার আগে আশ্রয় কেন্দ্রে তার পরিচয় নিশ্চিত করে কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশন। সব কাজ শেষ হতে সময় লাগে এক বছরের বেশি। এতে সহায়তা করে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও মিডিয়া।

কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ এক পরিসংখ্যানে জানায়, ভারতের বিভিন্ন জেলে ৬ হাজার ১শ ৮৫ জন বিদেশী বন্দী রয়েছে। এর অর্ধেকেরও বেশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে। আর পশ্চিমবঙ্গের জেলে ৯৮ শতাংশই আবার বাংলাদেশী নাগরিক।