ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী দিল্লি। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে মারা গেছেন পুলিশের এক কনস্টেবলসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় উত্তর-পূর্ব দিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার দিল্লিতে সংঘর্ষে এক অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুরধারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি চালাতে থাকেন। গুলি চালানোর ফলে, রাস্তার অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা ভয়ে দৌড়াতে থাকেন।
এই নিয়ে ২৪ ঘন্টায় দ্বিতীয়বার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দিল্লির রাজপথ। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে এবং বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পাথর ছোঁড়া, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল, ফলে রণক্ষেত্রে পরিণত হল দিল্লির বিভিন্ন এলাকা।
যার ফলে এদিন নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী এবং ওই সমস্ত এলাকায় বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তরফে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। রোববারে বিকেলে জাফরাবাদে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, শনিবার রাতে সেখানে জড়ো হন প্রায় শতাধিক মহিলা এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তারা।
সোমবার দুপুরেও বিক্ষোভ চলছিল ভারতের গোকুলপুরি, ভজনপুরা এলাকায়। তখনই সিএএ-র সমর্থনে একদল মানুষ সেখানে এসে হাজির হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে সিএএ বিরোধী মিছিলের সামনে হাজির হয় ওই দলটি।
রাস্তার উপরই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একে অপরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি করতে থাকে। বেশ কিছু গাড়িও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি একটি পেট্রোল পাম্পেও আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।