২০২০ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার ব্যাপকভাবে আলোচিত। এই আলোচনার শুরু ঘোষণার দিন গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই। শুরুর তালিকায় জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এই তালিকা প্রকাশের পর বিশেষ করে সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি পাওয়া এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এবং এই বিতর্কে আরও জ্বালানি যোগ হয় সর্বশেষ ১২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রকাশিত সংশোধিত তালিকায় যেখানে রইজ উদ্দিন আহমেদ বাদ পড়েন। এখন ৮ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হবে।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বা স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই পদক দেওয়া হয়ে আসছে। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি-গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়ে থাকে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসাবিদ্যা, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, পল্লি উন্নয়ন, সমাজসেবা/ জনসেবা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, জনপ্রশাসন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোনো ক্ষেত্রের; এই ১৩ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিধান রাখা হয়। তবে কোন বৎসর পুরস্কার প্রাপ্তের সংখ্যা দশের বেশি হবে না বলেও নির্ধারিত।
এবার প্রাথমিক অবস্থায় মোট দশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম আসলেও সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদকে শেষের তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছে। তার বাদ পড়ার কারণ মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা-বিতর্ক। অনেকের কাছে অপরিচিত সাবেক এই আমলা সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ায় এই পুরস্কার প্রদানের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন ওঠেছে। যদিও আগে থেকেই এই পুরস্কার নিয়েই প্রশ্ন আছে। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে চালু হওয়া এই পুরস্কার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিচিত মাহাবুব আলম চাষী (১৯৭৭ সালে পল্লী উন্নয়নে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত) ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি বিরোধিতাকারী শর্ষিনার পির মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহকেও (১৯৮০ সালে শিক্ষায় স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত) দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পুরস্কার প্রদানে আমলাদের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পরিষ্কার। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’র ৭.০১ ধারায় বলা আছে- ‘‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতি বৎসর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করিয়া সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং ইতঃপূর্বে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার/ স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নিকট পত্র প্রেরণ করিবে”। এই হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) নোটিশে ২৮ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ২০২০ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্যে মনোনয়ন আহ্বান করা হয়। নির্দেশাবলীর ৭.০৪ ধারায় বলা আছে- ‘‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার/ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত ব্যক্তিগণের নিকট হইতে প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হইবে। যাচাই-বাছাই করার পর প্রস্তাবসমূহ জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনা ও সিদ্ধান্তের জন্যে উপস্থাপন করা হইবে”।
এই পুরস্কারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠান ও আমলা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নিকট অতীতের একটা ব্যতিক্রম বাদে কেউ চাইলে নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারেন না। অবশ্য কবি নির্মলেন্দু গুণ নিজের জন্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের যে ব্যাপারটি ঘটেছিল সেখানে তিনি নিজের জন্যেই এই পুরস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন এবং সরকার এরপর যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে তাকে পুরস্কারের জন্যে চূড়ান্ত তালিকায় মনোনয়ন দেয়। এই এক ব্যতিক্রম বাদে সকল মনোনয়নই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও কমিটি দ্বারা নির্ধারিত এবং সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। এখানে প্রস্তাবিত ব্যক্তির নিজস্ব দৌড়ঝাঁপ কাগজে কলমে না থাকলেও প্রস্তাবিত ব্যক্তির ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও জন্ম সনদের কপির প্রয়োজন পড়ে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার/ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত ব্যক্তিগণের নিকট হইতে প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ প্রথমে যায় ‘প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি’তে। এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সদস্য হিসেবে আছেন- প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব/ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, প্রস্তাবক মন্ত্রণালয়/ বিভাগের সচিব। [সূত্র: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর তারিখে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন]
প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির পর প্রস্তাব যায় জাতীয় ‘পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’তে। যেখানে আহবায়ক হিসেবে আছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রী। এই কমিটির সহায়তাকারী কর্মকর্তাগণ হচ্ছেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব/সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, এবং সচিব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগ। [সূত্র: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কমিটি বিষয়ক অধিশাখার ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন।] প্রজ্ঞাপনের কমিটি গঠন (গ) কমিটির কার্যবিধি (১) অংশে বলা আছে- ‘‘জাতীয় পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ হতে প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ পরীক্ষা করা”।
যেখানে একজন যোগ্য ব্যক্তির মূল্যায়ন হওয়াটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের মনোনয়নের ক্ষেত্রে কি সেটা হয়েছে? প্রাথমিক অবস্থায় এস এম রইজ উদ্দিনের পুরস্কার প্রাপ্তির পর অনেকের ধারণা ছিল, নামে অপরিচিত হলেও নিশ্চয়ই তিনি স্বীয় ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু নানা মাধ্যমে সমালোচনার পর শেষ মুহূর্তে এসে তার নাম বাদ দেওয়ার ফলে এখন বিচারকের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠেছে। এখন স্বভাব প্রশ্ন- তাহলে পুরস্কার দিতে প্রথমে নাম ঘোষণা করলেন কেন, আর শেষমেশ বাদই বা দিলেন কেন? এতে করে নির্বাচকদের যোগ্যতা কি প্রশ্নবিদ্ধ হয় না?
সরকারি চাকরি শেষে অবসর জীবন যাপন করা এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদের অবস্থাটা একবার ভেবে দেখুন। এই পুরস্কারের জন্যে ব্যক্তি নিজ থেকে যখন আবেদন করতে পারেন না, তখন তিনি নিশ্চিতভাবেই পুরস্কারের জন্যে আবেদন করেননি। প্রাথমিক তালিকায় পুরস্কারের জন্যে তিনি মনোনীত হওয়ার পর একপর্যায়ে এসে কারও কোনো ধরনের জবাবদিহি ও অনুশোচনা ছাড়াই বাদ দেওয়াটা তার জন্যে অপমানের। এই অপমান রাষ্ট্রীয় অপমান, যা তার বা কারও প্রত্যাশার বাইরে।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে এজন্যে সরকার অনুশোচিত হয়নি। অপরিচিত এক ভদ্রলোককে পুরস্কারের নাম নিয়ে আলোচনায় এনে এরপর বাদ দিয়ে দেওয়ার কারণে তার যে মানহানি ঘটল তার দায় কে নেবে? এখানে প্রস্তাবক মন্ত্রণালয়/ বিভাগ থেকে শুরু করে, প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি হয়ে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরীক্ষা শেষে প্রধানমন্ত্রী- এতগুলো পর্যায় অতিক্রম শেষে নির্বাচন করেও তাকে শেষ মুহূর্তে বাদ দিয়ে এভাবে অপমান করা হলো। এখানে বিভিন্ন পর্যায়ে যারা জড়িত ছিলেন এজন্যে কি তারা দায় নেবে না? এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদের প্রতি এই অন্যায় মানহানির দায় ত তাদেরও। যেখানে মনোনয়ন ও নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপে তিনি যখন কোনো কর্তৃপক্ষই নন, সেখানে একা এই অপমান নেবেন কেন? সরকার এখন ভাবছে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য নন এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদ। তাহলে নির্বাচনের সময় তার কোন যোগ্যতায় আস্থা রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ? তখনকার যোগ্যতার আস্থায় যদি এখন আস্থা রাখতে না পারেন তবে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠবে। ওঠেছেও!
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পাওয়ার আগে আমরা তাকে চিনতাম না। এই না চেনাটা তার অপরাধ ছিল না। দেশের বেশিরভাগ লোকই অপরিচিত থাকে অনেকের কাছে। স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আপনারা তাকে সারাদেশে পরিচিত করালেন, আর সেটা বাতিল করে তাকে প্রকাশ্যে অপমান করলেন। এই অপমান রাষ্ট্রীয় তরফে আনুষ্ঠানিক অপমান। রাষ্ট্র এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে ‘এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদ আপনি অযোগ্য, যোগ্যতা নেই আপনার’! একবার ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, কাজটা কি উচিত হয়েছে? তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপমানের সিঁড়ি যারা রচনা করেছিলেন সেই মনোনয়নদাতাসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত ছিল তারা কি এজন্যে অনুশোচিত? তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করা উচিত। এই ক্ষমা প্রার্থনা দায়িত্ব পালন করতে না পারার কারণে, এই ক্ষমা প্রার্থনা অপরিচিত একজন লোককে সবার সামনে উপস্থাপন করে এরপর তাকে চূড়ান্ত অপমানের কারণে।
আমরা মূলত এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদের স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার পক্ষ-বিপক্ষের লোক নই, কিন্তু একজন নাগরিককে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপমানের বিরোধী। প্রশ্ন তুলছি না এস এম রইজ উদ্দিন আহমেদের যোগ্যতা নিয়ে, প্রশ্ন তুলছি সেই সব মনোনয়ন দাতাসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় থাকা সকলকে নিয়ে যারা তাকে পুরস্কারের নামে পরিচিত করে এরপর তার মানহানি করলেন।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)