চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দিলীপ কুমারকে হারিয়ে সবার আড়ালে সায়রা বানু

গেল বছর প্রয়াত হয়েছেন দিলীপ কুমার। স্বামীকে হারিয়ে যেন একাকিত্ব নেমে এসেছে অভিনেত্রী সায়রা বানুর জীবনে। নিজেকে যেন সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সায়রার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা, মুমতাজ, ধর্মেন্দ্র এবং শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, তারা বেশ কয়েকবার তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সম্ভব হয়নি।

মুমতাজ জানিয়েছেন, তিনি এমনকি তাদের পালি হিল বাংলোতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সায়রা বানুর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

বলিউড হাঙ্গামাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুমতাজ জানিয়েছেন, ‘খুবই দুঃখজনক। ইউসুফ সাহেবের মৃত্যুর পরে যেন কোনও খোলসের মধ্যে চলে গিয়েছেন সায়রাজি। তার সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তার কাছে পৌঁছুতে না পেরে বাড়ি পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা হয়নি। খুবই খারাপ লাগছে।’

অভিনেত্রী মুমতাজ আরও বলেন, ‘আমার মনে আছে শেষবার যখন আমি তাদের দুজনকে তাদের বাংলোতে দেখেছিলাম। সায়রাজি খুব মমতাময়ী ছিলেন। আমার জন্য সত্যিই সুস্বাদু কুকিজ এবং কেক তৈরি করেছিলেন।’

মুমতাজ দিলীপ কুমার এবং সায়রা বানু উভয়ের সঙ্গে ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘আদমি অউর ইনসান’-এ কাজ করেছিলেন।

ধর্মেন্দ্রও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সায়রা বানুকে ফোন করলে কোনও উত্তর পাওয়া যায় না। কেবল আশা করতে পারেন অভিনেত্রী সুস্থ আছেন। শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, ‘দিলীপ সাহেবের চলে যাওয়ার পর তিনি একটি খোলসের মধ্যে চলে গিয়েছেন। আমরা সবাই সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতাকে হারালাম। কিন্তু তিনি আরও অনেক কিছু হারিয়েছেন। আমি চাই তিনি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুক এবং যদি প্রয়োজন হয় আমরা তার জন্য আছি।’

১৯৬৬ সালে বিয়ে করেন দিলীপ ও সায়রা। প্রায় ২২ বছরের ছোট সায়রা দিলীপ কুমারের থেকে। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের বয়স ছিল ৫৪ বছর। শেষ কয়েক বছরে নিজেকে পুরোপুরি সায়রার হাতে সঁপে দিয়েছিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা। এই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। পরস্পরকে আগলে রাখতেন দুজনে, সম্পর্কে চড়াই উতরাই এসেছে ঠিকই- সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দিলীপ কুমারকে আগলে রেখেছিলেন সায়রা বানু।