করোনার সংক্রমণ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরের সদরে মঙ্গলবার থেকে সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা শুরু হয়েছে।
লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠ কাজ করছে পুলিশ, র্যাবসহ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
১৩ জুন রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক শেষে জারিকৃত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী এ এ লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,১৫ জুন থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য জরুরি পরিষেবা ব্যতীত শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শুধু কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান খোলা থাকবে। ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুল কুদ্দুস জানান, দিনাজপুরে চলতি মাসের ১৩ দিনে করোনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে, ১৪৪ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছে,৬৩৬৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে, ৫৬৮০ জন। বর্তমানে শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।
বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগি ৫৪৩ জন। এর মধ্যে ৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে ৮৭ জন এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছে, ৫১৩ জন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০। এরপর প্রায় দেড় মাস ধরে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
২০ মার্চ জেলায় একজনের মৃত্যু হয়। চলতি জুনের প্রথম থেকে জেলায় আশঙ্কাজনক ভাবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
২ জুন জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জন, ৪ জুন ২ জন, ৫ জুন ৩ জন, ৬ জুন ২ জন, ৭ জুন ১ জন, ১১ জুন ১ জন এবং ১২ ও ১৩ জুন ৪৮ ঘণ্টায় মারাযান ৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ১ জন সহ মোট ১৪৪ জন মারা যায়।
দিনাজপুর সিভিলসার্জন ডা: আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে দিনাজপুর সদর উপজেলায় সংক্রমণ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই করোনা প্রতিরোধে এই লকডাউন দেয়া হয়েছে।