দিনাজপুরে ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান না কেনায় হতাশ তারা। আবহাওয়া ভালো ফলন হলেও নানা অজুহাতে জেলায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। ঋণ নিয়ে আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন বর্গাচাষীরা।
একজন কৃষক বলেন, ধানের যে দাম, সারের দাম হিসেবে তাতে কোনো লাভ নেই। কৃষকের মেরুদণ্ড একেবারে ভেঙে গেছে।
জেলায় এবার এক লাখ ৭৫ হাজার ৮’শ ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ফলনটা গতবারের তুলনায় বেশি এবং আশানুরুপ।
সার, বীজ, কীটনাশক এবং বিদ্যুতসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা। খরচ বাড়ার কথা জানিয়ে একজন কৃষক বলেন, ধানের যে দাম তা দিয়ে সারের দাম দেব না কামলার দেবো না নিজে খাব?
কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্য গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও তাদের কাছ থেকে ধান নেওয়া হচ্ছে না। তবে গুদামে স্থান সংকটের কথা বলছে খাদ্য বিভাগ।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদির বলেন, ইতোমধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে প্রোগাম দেয়া হয়েছে এবং যেগুলো ঘাটতি অঞ্চল আছে সেগুলোতে আমরা সঠিকভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।
সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে না পারায় ক্ষুব্ধ জেলার কৃষক। ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামীতে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলে আশংকা করছেন কৃষিবিদরা।