দিনাজপুরের বিরামপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ফরহাদ হোসেন অপি (৪০) নামে এক ব্যক্তির মুত্যু হয়েছে।
সোমবার ভোরে বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের তপসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফরহাদের মৃত্যুর পর ওই বাড়ির ৪ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
কুমিল্লায় হোম কোয়ারেন্টাইনে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে শ্রমিক হিসেবে থাকা ফরহাদ জ্বর, সর্দি,কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ১২ দিন আগে নিজ গ্রামের বাড়ি বিরামপুরে পালিয়ে আসেন। সোমবার ভোরে তিনি মারা যান।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ফরহাদ হোসেন অপি (৪০) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছেন দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.আব্দুল কুদ্দুস।
তিনি জানান: ফরহাদ হোসেন অপি (৪০) কুমিল্লায় যে বাড়িতে কাজ করতেন ওই বাড়ির গৃহকর্তা সৌদি প্রবাসী। তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন এবং ওই বাড়ির সকলে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ফরহাদ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় বিরামপুরে এসেছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিরামপুরের ওই বাড়ির ৪ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান: “ফরহাদ হোসেন কুমিল্লায় এক প্রবাসীর বাড়িতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করতেন। ১২ দিন আগে ফরহাদ অসুস্থ অবস্থায় পালিয়ে নিজ বাড়িতে আসেন। ফরহাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে নিজ বাড়িতে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে থাকেন। সোমবার ভোরে তিনি মারা যান। ফরহাদ মারা যাওয়ার পর ওই পাড়ায় যাতে কোনও লোক ঢুকতে বা বের হতে না পারে সেজন্য গ্রাম পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে।”
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার সহকারি ভুমি কমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফরহাদ হোসেনের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।