ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম সাক্ষাতে অদম্য ছিলেন দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সলোমন মায়ার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়েকে। রোববারও দারুণ শুরুই করেছিলেন। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরুর পর প্রথম দশ ওভার ব্যাট করেন দুজনে।
দারুণ শুরুর পর অনেকটা ব্যাকফুটেই চলে গেছে জিম্বাবুয়ে। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে তারা। থিসারা পেরেরার করা ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে আউট হন মাসাকাদজা। দলীয় ৪৪ আর ব্যক্তিগত ২০ রানে উপুল থারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দেন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার।
পরে ৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন ক্রেইগ আরভিন (২)। এবারও শিকারি সেই পেরেরা। ক্যাচ নেন থারাঙ্গাই। আরভিনের পর সাজঘরে যেতে দেরি হয়নি মায়ারেরও। ২১ রান করে ফিরেছেন।
একাই তিন উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছেন পেরেরা। পরে সিকান্দার রাজাকে (৯) মেন্ডিসের ক্যাচ বানিয়ে জিম্বাবুয়েকে আরও বিপদে ঠেলে দেন সান্দাকান।
ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে এই ম্যাচটা জিততেই হবে শ্রীলঙ্কাকে। আগের ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখায় জিম্বাবুয়ে দলে কোন পরিবর্তন নেই। তবে শ্রীলঙ্কা দলে একটি পরিবর্তন আছে। ভানিডু হাসারাঙ্গার জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন লক্ষ্মণ সান্দাকান।
২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডেতে ৩৫ রানে অলআউট করেছিল শ্রীলঙ্কা। যেটি ওডিআইতে সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড। তার আগে ৮ ডিসেম্বর ২০০১ সালে এই জিম্বাবুয়েকেই ৩৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা। তবে মজার বিষয়, ২১ জানুয়ারি ২০১৮তে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই আন্ডারডগ হয়ে মাঠে লঙ্কানরা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দেখায় সুবিধা করতে পারেনি লঙ্কানরা। হেরেছিল ১২ রানে। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি হাথুরুসিংহের দল। টাইগাররা ৩২০ রানের সংগ্রহ গড়ে ১৬৩ রানে নিজেদের রেকর্ড জয় তুলে নেয়।
লঙ্কানদের টানা দুই হারে কোন পয়েন্ট অর্জন সম্ভব হয়নি। সেখানে জিম্বাবুয়ে তাদের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জিতে ৪ পয়েন্ট জমিয়ে রেখেছে। রোববার জিততে পারলে ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে নিশ্চিত। না পারলে অনেক হিসাব-কেতাবে যেতে হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুদলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি।
তবে স্বাগতিকদের হিসাবটা সোজা। মাশরাফীর দল ইতোমধ্যেই ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলেছে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই। প্রথম দুই জয়ে বোনাসসহ লাল-সবুজদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট।