সিলেট থেকে: প্রথম দিন শেষে এগিয়ে থাকল কারা? পড়ন্ত বিকেলে প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে! ৯১ ওভার খেলে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান। উইকেটে অসমান বাউন্স ছিল না, স্পিনে মেলেনি বাড়তি টার্ন। তারপরও বাংলাদেশের বোলারদের থেকে গেল এদিন আরেকটি উইকেট নিতে না পারার আক্ষেপ।
প্রথম দুই সেশনে দুটি করে উইকেট নিতে পারলেও তৃতীয় সেশনে স্বাগতিকদের সাফল্য মাত্র একটি। ৮০ ওভার পরই নতুন বল হাতে নেয় বাংলাদেশ। দিনের শেষবেলায় আরেকটি উইকেট পেতে মরিয়া ছিলেন রাহি-মিরাজরা। পিটার মুর ও রেগিস চাকাভার দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয়েছে সে চেষ্টা। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৩৫ রান যোগ করে জিম্বাবুয়েকে স্বস্তির জায়গায় নিয়ে গেছেন দুজনে।
ওয়ানডে সিরিজের পর সাদা পোশাকেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন শেন উইলিয়ামস। ৮৮ রান করে মাহমুদউল্লাহর বলে স্লিপে দাঁড়ানো মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৭৩ বলে ৯ চারে ৮৮ রান করা এ বাঁহাতির বিদায়ে ভাঙে শতরানের দিকে ধাবিত হওয়া পঞ্চম উইকেট জুটি।
স্টেডিয়ামের অভিষেকের মঞ্চে ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৫ রান। ব্রায়ান চারিকে বোল্ড করে প্রথম সাফল্য পান তাইজুল। দলীয় ফিফটি ছোঁয়ার আগেই এ বাঁহাতি স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর (৬)।
৫২ রান করা মাসাকাদজাকে লাঞ্চের পর এলবিডব্লিউ করেন লোকাল বয় আবু জায়েদ রাহি। দলীয় শতরানে পেরিয়ে যাওয়ার পর সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য পান অভিষিক্ত নাজমুল ইসলাম অপু। ৩৭ রান করা এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে সরাসরি বোল্ড করেন এ বাঁহাতি স্পিনার অপু।
সকালে অভিষেক টেস্টের উদযাপন হয়েছে স্মরণীয়। ড্রেসিংরুম থেকে খেলোয়াড়রা মাঠে নামার পথে পেয়েছেন লাল গালিচা সংবর্ধনা। ক্রেস্ট, স্মারক উপহার। বিশেষ কয়েনে হয়েছে টস। সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান ঘণ্টা বাজিয়ে করেছেন ম্যাচের শুরু।
ক্রিকেট ঘিরে সিলেটের মানুষের প্রেমও প্রকাশ পেয়েছে ম্যাচের মাঝের এক ঘটনায়। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো মুশফিকুর রহিমকে মাঠে ঢুকে জড়িয়ে ধরে ৮-৯ বছর বয়সী এক শিশু। পশ্চিম গ্যালারির সামনের গ্রিল টপকে দৌড়ে চলে যায় মাঝমাঠে। মুশফিক শুরুতে অবাক হলেও পরে বুকে টেনে নেন ওই শিশুটিকে।