ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নিজেদের দাবি আদায় করেই নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী।
মেহেদী তালুকদার বলেন, ‘আমরা দাবি করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত যেকোন শিক্ষার্থীই যেন নির্বাচনে যেতে পারে, এখানে বয়স কোনো ফ্যাক্টর হতে পারে না। আমাদের দাবির অগ্রগতি হবে ধরে নিয়েই আমরা ফর্ম বিতরণ করছি। ত্রিশ বছরের বেশি কেউ যদি ফর্ম নিতে চায়, তাহলে পারবে। আমরা তো এই বাধা মানি না।”
ডাকসুর তফসিলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময়সীমা ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে যদি প্রশাসন আপনাদের দাবি না মানে সেক্ষেত্রে ছাত্রদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না?
জানতে চাইলে মেহেদী বলেন, ‘আমরা আশাবাদী প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নেবে। প্রশাসন আমাদের দাবি মানলে আমরা সব সময়ই প্রস্তুত আছি। ছাত্রদল একটি সুসংগঠিত সংগঠন। যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো সামর্থ্য ছাত্রদলের আছে।”
তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনকে বারবার বলেছি, তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিলে সেটি ফলপ্রসূ হবে না। আমাদের দাবির মধ্যেও আছে যৌক্তিক সময় পর্যন্ত নির্বাচন পেছানোর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আমাদের দাবি না মানে সেক্ষেত্রেও আমরা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারি সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে। কিন্তু আমাদের মূল টার্গেট হলো, দাবি আদায় করেই আমরা নির্বাচনে যাবো।
মেহেদী আরও বলেন, দেখেন ডাকসুটা একটা গ্ল্যামার। ছাত্রদল আরেকটা গ্ল্যামার। ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কিন্তু পরীক্ষিত। তাদের বাদ দেয়ার জন্যই বয়স ৩০ করা হয়েছে।
মনোনয়নের ক্ষেত্রে কাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মেহেদী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিতে ৫০০ প্লাস নেতাকর্মী আছে। এর মধ্যে ৪৭০ প্লাস হলো ৩০ (বয়স) এর ভেতরে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থী। কাজেই আমাদের তো আসলে কর্মীর অভাব নাই।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পরপরই পুনরায় তফসিল ঘোষণা, হলের বাইরে ভোট কেন্দ্র চেয়ে ও নির্বাচন তিন মাস পেছানোর দাবিতে প্রশাসনকে ৭ দফা দাবি জানিয়েছিলো ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।