মেয়েদের ফুটবলকে ঘিরে যখন একের পর এক আনন্দের জোয়ার, ছেলেদের ফুটবলে তখন অমাবস্যার অন্ধকার। সেই চোরাগলি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি জয়ের। এশিয়ান গেমসে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন এক জয়ের দ্বারপ্রান্তে থেকে ড্রয়ের ফল নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে জেমি ডের শিষ্যরা।
আগের ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থতা ভুলে পাকান সারি স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো কিছুর প্রত্যয়ই দেখা গেছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের মধ্যে। ম্যাচ শুরুর ৮ মিনিটের মধ্যে থাই গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মাহবুবুর রহমান। ৩৭ মিনিটে আবারও সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে দুর্বল শটে থাই ডিফেন্ডারদের বোকা বানাতে পারেনি এ ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল প্রায় হজম করেই বসেছিল বাংলাদেশ। ৪৮ মিনিটে সারিঙ্কান প্রমসুপার শট বাংলাদেশ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেয়ায় সে যাত্রায় বিপদে পড়েনি জেমি ডে শিষ্যরা।
ওই আক্রমণে ঘাবড়ে না গিয়ে উল্টো পাল্টা আক্রমণে ম্যাচে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৫২ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রোতে বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়ের মাথা ছুঁয়ে বল যায় মাহবুবুর রহমান সুফিলের পায়ে। জটলার মধ্য থেকে সেই বলে আলতো ভলিতে থাই গোলরক্ষককে পরাস্ত করে আগের দুই সুযোগ হাতছাড়ার প্রায়শ্চিত্ত করেন লাল-সবুজের এ ফরোয়ার্ড।
গোলের পরেই যেন রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাঝে। সুযোগে রক্ষণে চাপ বাড়ায় থাইল্যান্ড। অতীতে এগিয়ে থেকেও জয়হীনভাবে ফেরার পুরনো রোগ আবারও ভর করে শেষঅবধি। সাদউদ্দিন, মাশুক মিয়া জনিরা থাইদের মূহমূহ আক্রমণের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন। একসময় বেরিয়ে পড়ে রক্ষণের কঙ্কালও। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা একাধিক সেভ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৮০ মিনিটে এরিয়াল বলে তার এক ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে সুপাচাই চাইদেদের গোলে সমতায় ফেরে থাইল্যান্ড।
শেষদিকে থাইল্যান্ডের একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারত বাংলাদেশ। তবে মাটি কামড়ে শেষ কয়েক মিনিট পার করে দেয়ায় অন্তত এক পয়েন্ট যোগ হয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহে।