চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দল না পাঠালে উল্টো ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দল ঘোষণার তারিখ শেষ হয়ে গেছে গত ২৫ এপ্রিল। অংশগ্রহণকারী ৮টি দেশের মধ্যে দল ঘোষণা করার বাকি কেবল ভারতের। তারা আদৌ দল পাঠাবে কিনা সেটি নিয়েই এখনো সংশয়। ভারত দল পাঠাবে কি না তা জানতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৭মে পর্যন্ত। ঐদিন বিসিসিআইর এক বিশেষ সভায় নির্ধারিত হবে কোহলিদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভাগ্য। দেশটির বোর্ডের এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন। তবে দল না পাঠালে তারা বেশ বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বেন বলেও স্বীকার করে নিচ্ছেন ওই কর্মকর্তা।

গত বুধবার আইসিসির সাধারণ সভায় স্থায়ী ১০ দেশ এবং সহযোগী ৪ দেশের মধ্যে ভোটাভুটিতে হেরে যায় ভারত। যাতে ১৩-১ ভোটের ব্যবধানে বাতিল হয়ে যায় ২০১৪ সালের ‘তিন মোড়ল’ দেশের জন্য বিতর্কিত লভ্যাংশ নীতি। নিজেদের পাশে কাউকেই পায়নি বিসিসিআই। তিন মোড়ল নীতিতে যেখানে ৫৭০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল দেশটির বোর্ডের, প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাওয়ায় ২৯৩ মিলিয়ন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে শেষ পর্যন্ত।

এরপর থেকে আইসিসির সঙ্গে ভারতের রশি টানাটানি চলছেই। নিজেদের প্রস্তাবিত লভ্যাংশ ফিরে পেতে ভারত ঢাল বানিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে। বিশ্বকাপের পর আইসিসির দ্বিতীয় বড় টুর্নামেন্ট থেকে সরে থাকা যে হিতে বিপরীত হতে পারে সে বিষয়েও বেশ সজাগ বিসিসিআই।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত অংশগ্রহণ করতে পারে এমনটাও ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিনোদ রায়, ‘আমরা বিশেষ সভাতে এ নিয়ে করণীয় কি তা ঠিক করব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্যই ক্ষতির। সামান্য এক কারণে টুর্নামেন্টটি থেকে দূরে থাকলে আমাদেরই বিশ্বাস ভেঙে যাবে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা থেকে বিরত থাকলে ভারতের জন্য বিপদ নেমে আসতে পারে আরেকদিক থেকেও। ভারতের ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএলে খেলোয়াড় পাঠাতে অন্য দেশগুলোর জন্য নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে আইসিসি। এই দিকটিও ভীষণ ভাবাচ্ছে বিসিসিআইকে। বিনোদ রায় বলেছেন, ‘যদি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েই নেয় যে দল পাঠাবে না, তাহলে অন্য দেশগুলোও কিন্তু আইপিএল খেলার জন্য খেলোয়াড় পাঠাতে বেকে বসতে পারে। আইপিএলের জন্য সেটি হবে এক অশনি সংকেত। আর আইপিএল যদি বন্ধ হয়ে যায় সেটি বিসিসিআইয়ের জন্য অপূরণীয় এক ক্ষতি।’