দর্শক শ্রোতাদের মুখপাত্র হয়ে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বেতারের উন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘দর্শক-শ্রোতা’ (এসোসিয়েশন অব ফিল্ম-টেলিভিশন ভিউয়ার্স অ্যান্ড রেডিও লিসেনার্স অব বাংলাদেশ) নামের একটি সংগঠন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দর্শক-শ্রোতার চাহিদা ও মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচারে ভূমিকা রাখা তাদের মূল উদ্দেশ্য।
‘দর্শক-শ্রোতা বাংলাদেশ’-এর সংগঠকরা বুধবার সকালে ঢাকার সেগুন বাগিচাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গনে এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে।
‘দর্শক-শ্রোতা বাংলাদেশ’-এর আহবায়ক শহিদুল আলম সাচ্চু বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার দর্শক-শ্রোতাদের সমন্বয়ে গঠিত ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ‘দর্শক-শ্রোতা বাংলাদেশ’-এর যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। ক্রমান্বয়ে দেশের সকল জেলা, উপজেলা, প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের শাখা কমিটি গঠন করা হবে।
সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক জিয়াউল হাসান কিসলু তার বক্তব্যে বলেন, চলচ্চিত্র টেলিভিশন দর্শক এবং বেতার শ্রোতাদের চাহিদা ও মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বিভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ধারার প্রতিফলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা, সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বেতার অনুষ্ঠান নির্মাণ এবং সম্প্রচারে সহায়ক ভূমিকা পালনই ‘দর্শক-শ্রোতা বাংলাদেশ’-এর মূল উদ্দেশ্য।
উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আয়োজকরা জানান, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের দর্শক ও বেতার শ্রোতাদের প্রত্যাশা, মতামত ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেয়া এবং বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে ‘দর্শক-শ্রোতা বাংলাদেশ’ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সংগঠনটি সারাদেশের দর্শক-শ্রোতাদের স্বার্থ সংক্রান্ত একটি সক্রিয় নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। এছাড়াও চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বেতার অনুষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে এই ফোরাম প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে, নানাবিধ কর্মসূচি/কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক জিয়াউল হাসান কিসলু। সংগঠনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ‘দর্শক-শ্রোতা বাংলাদেশ’র আহবায়ক শহিদুল আলম সাচ্চু। বক্তব্য রাখেন আহবায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার সাইফুল ইসলাম, সেলিম আহমেদ, রুবেল শংকর, শারমিন মিশু, রাফি হোসেন এবং সায়মা সিমি।