বার্সেলোনায় থাকতে মরিয়া লুইস সুয়ারেজ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩৩ বছর বয়সী এই উরুগুয়েন ফরোয়ার্ড বলেছেন প্রয়োজনে সাইড বেঞ্চে বসে থাকবেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত চুক্তি শেষ করে তবেই বার্সা ছাড়তে চান তিনি।
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার পর ক্লাবকে নতুন করে গড়ার ডাক দেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ। তাতে যদি ক্লাবের ‘কিছু কিংবদন্তি’কে ছেড়ে দিতে হয় তাতেও রাজি ক্লাব প্রেসিডেন্ট।
তবে কিছু খেলোয়াড়কে যেকোন মূল্যে ধরে রাখতে মরিয়া বার্তেমেউ। সেই দলে বন্ধু মেসির নাম থাকলেও ছিল না ৩৩ বছর বয়সী সুয়ারেজের নাম! এরপর থেকেই জল্পনা-কল্পনা, হয়তো চুক্তির আরও একবছর বাকি থাকতেই ছেড়ে দেওয়া হবে উরুগুয়েন তারকাকে।
বার্সা আসলে কী চায় সেটা স্পষ্ট করে বলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন সুয়ারেজ। যদি উত্তর না হয় তাহলে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ন্যু ক্যাম্পে থেকে যাওয়ার জন্য লড়াই চালাবেন বলে এল পাইসকে জানিয়েছেন তিনি।
‘ক্লাবে একটা পরিবর্তন আসবে আর প্রেসিডেন্ট কিছু নাম বলেছেন যেগুলো নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি যে তারা আমাকে তাড়াতে চায়। যদি তাই হয়, যারা সিদ্ধান্ত নেবেন তারা যেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অন্যের মুখে শোনার চেয়ে এটা বরং ভালো। আমি দলের ভালোই চাই এবং থেকে যেতে চাই।’
‘ক্যারিয়ারজুড়ে অনেকবার আমাকে সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। আমার এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে তবে আগামী মৌসুমে আমাকে যদি সাইডবেঞ্চেও বসে থাকতেও হয় তাতে আমার না নেই।’
‘যারা শক্তিশালী তারাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকে। কিন্তু নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান যদি মনে করেন আমাকে বদলি হিসেবে নামাবেন তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
বয়স ৩৩ হলেও এখনো নিয়মিত গোল করছেন সুয়ারেজ। বার্সায় ছয় বছরেই হয়ে গেছেন ক্লাবটির তৃতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার (১৯৮ গোল)। আগের মত খেলতে পারেন এমন সমালোচনা করছেন তাদের জন্যও বার্তা পাঠিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
‘আমি তুলনা করতে চাই না তবে আমার মনে আছে রিয়াল মাদ্রিদ যখন আয়াক্সের কাছে হেরে গেল তখন অনেকেই বলেছেন যে টনি ক্রুস খেলতে পারে না, সার্জিও রামোস একটা বিপর্যয় আর লুকা মদ্রিচকে এরা অবসরে যেতে বলেছিলো।’
‘আর এরাই যখন এ মৌসুমে লিগ জিতলো তখন তারাই বলা শুরু করলো রিয়ালের এই দলটা কিংবদন্তিদের নিয়ে গড়া। অবশ্যই তারা ভালো দল কিন্তু যখন কেউ হারতে থাকবে তখন সবাই পেছন থেকে কথা বলা শুরু করবে।’