টাঙ্গাইলের ঘটাইলে থানা পুলিশ হত্যা মামলা না নেয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ৪ মাস ১১দিন পর বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
সকালে উপজেলার দশআনি বকশিয়া গ্রামের ওসমান গনির মরদেহটি উত্তোলন করে কর্তৃপক্ষ। পরে মরদেহটি ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই ও মামলা বাদী ছালামত খান অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ মাস আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার বড় ভাই ওসমান গনিকে হত্যা করে প্রতিবেশী নাজিম উদ্দীনসহ অন্যরা। এ বিষয়ে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করতে যাই। কিন্তু আমাদের কোন অভিযোগ আমলে নেননি ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদ আলম।
তিনি বলেন, উল্টো আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে বের দেন। পরে আমরা নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করি। আদালত তা আমলে নিয়ে আজ মরদেহ উত্তোলন করে ফরেনসিক রিপোর্টের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি এখন ন্যায় বিচার পাব।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদ আলমের অফিসিয়াল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু (গোপালপুর সার্কেল) বলেন, মামলা না নেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। ঘটনার পর আমি নিজে নিহতের বাড়িতে গিয়েছি। তখন কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেননি। এছাড়া যদি কোন পুলিশ সদস্য কারো সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন তাহলে যথাযথভাবে অভিযোগ জানালে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রিপোর্টে হত্যা প্রমাণিত হলে সেই মোতাবেক যথাযথ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মরদেহ উত্তোলন শেষে ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।