থাইল্যান্ডের নতুন সংবিধান পাশের প্রশ্নে গণভোট শেষ হয়েছে। ভোট শেষে
পূর্বাভাস বলছে, নতুন সংবিধানের পক্ষে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে, বিপক্ষে পড়েছে
৩৮ শতাংশ।
ভোটে হ্যাঁ জয়ী হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকার।
থাইল্যান্ডে গণভোটের বিষয় ছিলো সামরিক সরকার মনোনিত কমিটির তৈরি করা নতুন সংবিধান। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভের পর ক্ষমতা দখল করে সংবিধান বাতিল করেছিল দেশটির সেনাবাহিনী।
গণভোটের ফল নতুন সংবিধানের পক্ষে গেলে ২০১৭ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, সেনাবাহিনী প্রস্তাবিত সংবিধান পাস হলে ভবিষ্যত সরকারকে সামরিক বাহিনীর নির্দেশিত পথেই দেশ চালাতে হবে। তাই ভোটের আগেই প্রস্তাবিত সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
প্রস্তাবিত সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে কোনো একক রাজনৈতিক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন হবে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া সিনেটের ২৫০ সদস্য নির্বাচনের এখতিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে থাকবে। ফলে সিনেটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনও পরোক্ষভাবে সেনাবাহিনীর হাতেই থাকছে দাবি গণতন্ত্রবাদীদের।
সেনা সরকারের সংবিধান প্রণেতারা অবশ্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কলহ নিরসনে এটিকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে দাবি করেছেন।