থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে পাওয়া গণকবরে একাধিক বাংলাদেশীর মরদেহ আছে বলে সন্দেহ করছে সে দেশের পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কারও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ নিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের ৬ নাগরিক গ্রেফতার হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলছেন, অবৈধ অভিবাসী হওয়ার এই চেষ্টা বৈধভাবে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
জীবন-জীবিকার তাগিদে অবৈধ পথে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা হয় দুনিয়া জুড়েই। ঝুঁকি আছে জেনেও অল্প টাকায় অভিবাসী হওয়ার প্রলোভনে লম্বা সাগরপথ পাড়ি দিতেও প্রস্তুত হয় নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সেই সুযোগটাই নেয় মানব পাচারকারীরা।
দুর্গম পথ হওয়ায় ওই মানুষগুলোর জীবনে কী ঘটে তার বেশিরভাগই থেকে যায় অজানা।
তবে গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে গণকবরের খোঁজ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বিশ্ব। শংখলা প্রদেশের ওই জঙ্গলে এরইমধ্যে একাধিক গণকবরে পাওয়া গেছে ২৬ অভিবাসীর লাশ। সেই সংখ্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা।
দীর্ঘ সাগর পাড়ি দিয়ে কোনো মতে মাটিতে পা রাখলেও দালালদের ফাঁদে আটকা পড়েন অভিবাসীরা। চাওয়া হয় মুক্তিপণ। সেই পণের টাকা না মিললে হতে হয় নির্মমতার শিকার। থাই পুলিশের ধারণা, গণকবরের মানুষগুলোর বেলায়ও ঘটেছে তেমনটাই। যার বেশিরভাগই বাংলাদেশী নয়তো রোহিঙ্গা।
এই সমস্যার সমাধানে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নেওয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ওই এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে। সেটা বিজিবি করছেও। সেই সাথে সামাজিক সচেতনতারও প্রয়োজন আছে। কারণ এটা ক্রমাগত ঘটতে থাকলে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এমন ঘটনা আমাদের উত্তরণের পথে বাধার সৃষ্টি করবে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস সক্রিয় আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী দেশের মানুষদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।