একটা সময় ছিল বার্সেলোনা মানে মেসি কিংবা মেসির বার্সেলোনা। তবে ওই বার্সেলোনা এখন আর মেসি নির্ভর নয়।এখনকার বার্সেলোনা ত্রয়ী নির্ভরতার প্রতীক।
মেসি সুয়ারেস আর নেইমারের অসাধারণ পারফরমেন্সে গত বছর ছয়টি শিরোপার পাঁচটিতেই জয় পায় বার্সেলোনা (লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা ডেল রে, উয়েফা সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ)।
গত বছর বার্সেলোনার সর্বমোট ১৮০ গোলের মধ্যে ১৩৭টি গোলই করেছে মেসি সুয়ারেস আর নেইমার। এরমধ্যে মেসি ৪৮, সুয়ারেস ৪৮ আর নেইমার করেছে ৪১ গোল। গত জানুয়ারী থেকে জুনের মধ্যেই ১০৭ গোল করেন এই ত্রয়ীরা।
পরের ৭৩টি গোল আসে আগস্ট থেকে ডিসেম্বরে। এর মাঝে প্রায় আড়াই মাস ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিল লিও মেসি। দলের ৭৬ শতাংশ গোলই এসেছে মেসি-সুয়ারেস-নেইমারের কাছ থেকে।
এর মধ্যে ত্রয়ীরা এক সঙ্গে গোল করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচসহ ফাইনালেও। ফাইনাল ম্যাচগুলোতে তারা করেছেন ১২ গোল। কোপা ডেল রের ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক করেন জোড়া গোল।
উয়েফা সুপার কাপেও সেভিয়ার বিপক্ষেই আবারো মেসির পা থেকে জোড়া গোল। রিভার প্লেটের বিপক্ষে ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপেও মেসি একটি গোল করেন, এছাড়াও রিভার প্লেটের বিপক্ষে গোল পায় সুয়ারেস আর নেইমার।
বার্লিনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে দূর্দান্ত গোল করেন নেইমার। সুয়ারেসও গোল পান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।
বার্সেলোনা যেন এখন রেকর্ডের বরপুত্র। ২০১৫ সালে ৬৫ ম্যাচের মধ্যে ৫১টি জয় বার্সেলোনার। শতকরা ৭৮.৪ শতাংশ ম্যাচে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ২০১৪ সালের ১৭৮ গোল দিয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ গোল রেকর্ড দখল করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
রেকর্ডটি পরের বছরই দখল করে নিল বার্সেলোনা। তাদের গোল সংখ্যা ১৮০। এর আগে ২০১১ সালে ১৭০ এবং ২০১২ সালে ১৭৫টি গোল দিয়েছিল প্রতিপক্ষের জালে। এতো কিছু অর্জনের পরও বার্সা শিবিরে পিন পতন নিরবতা।
কোচ লুইস এনরিকে সোজা সাপটা জানিয়ে দিয়েছেন, তার খেলোয়াড়রা ক্ষুধার্থ। জয়ের জন্য তারা মরিয়া। আর গত বছর আামদের কি অর্জন সেদিকে তাকাতে চাই না, নতুন বছরে আমাদের অর্জন নেই।তাইতো নুতন বছরে নতুনভাবেই জয়ের মিশন শুরু করব।
সত্যিই যদি বার্সেলোনার গেম প্ল্যান এমনটাই হয়….তাহলে এ বছরে বোধহয় কোন শিরোপা থেকেই পিছু হটবে না তারা। কারণ তাদের যে কাণ্ডারী এমএসএন (মেসি, সুয়ারেস, নেইমার)।
তাছাড়াও গত বছর দলে ভিড়লেও ট্রান্সফার জনিত সমস্যার জন্য মাঠে নামতে পারেনি মাঝ মাঠের খেলোয়াড় আরদা তুরাণ। ইনিয়েস্তার সঙ্গী হয়েই গোল মুখে ত্রয়ীদের মুহুর্মুহু পাস দেবেন।
এখন দেখার বিষয় নতুন বছরে কতটা ক্ষিপ্রতা নিয়ে খেলে ত্রয়ীর বার্সেলোনা।