চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহতদের মৃতদেহের ছবি দিয়ে নিহতের সংখ্যা ৫ জন বলা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।
আজ সোমবার বিকেলে বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীকে আসামী করে বাঁশখালী থানায় মামলা করা হয়।
এ ঘটনায় অারো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকার লোকজন। মামলা ও জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে সমাবেশের আয়োজন করে গণ্ডামারা এলাকাবাসী।এ সময় বিদ্যুৎ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসী ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এতে কমপক্ষে তিনজনের নিহত হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গণ্ডামারা এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মরতুজা আলী ও আনোয়ার হোসেন আংকুর এবং নূর আহমদের ছেলে জাকের আহমদ।
এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে চিকিৎসাধীন আছেন মফিজুর রহমানের ছেলে বাদশা মিয়া।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ সদস্যসহ মারাত্মক আহত ১৫ জনেক ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যুতখাতে দেশের বেসরকারি পর্যায়ে সবচেয়ে বড় এ বিনিয়োগের মূল উদ্যোক্তা এস আলম গ্রুপ। চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৬০০ একর জমির ওপর স্থাপিত এ প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
এস আলম গ্রুপ বলছে, কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করবে প্রায় ৬০০ বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী।