চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ফার্নেস তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। ফার্নেস তেল হালদা নদীর ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার উজানেও ছড়িয়ে পরায় হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্য প্রজনন।
তেলবাহী ট্রেনটি শুক্রবার দুপুরে দোহাজারী পিকিং প্ল্যান্টে ফার্নেস তেল নিয়ে যাওয়ার সময় বোয়ালখালীর রেল সেতু ভেঙে ইঞ্জিনসহ চারটি ওয়াগন খালে পড়ে যায়। ৫০ টনেরও বেশী তেল কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়ে।
হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহকারী কয়েকজন জানায়, এখানে প্রচুর পরিমানে তেল ছড়িয়ে পড়েছে। নদীর পারের কচুগাছ এবং খড়কুটোগুলাতে প্রচুর পরিমানে তেল পাওয়া গেছে। তেল ছড়িয়ে পড়ায় মাছ, মাটি এবং পানির অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রভাতী দে বলেছেন, ফার্নেস তেল হালদার ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার উজানে ছড়িয়ে গলদার চিংড়ি পোনা ধ্বংস হয়ে গেছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমাদের চেষ্টা হচ্ছে যাতে আরো ক্ষতি হতে না পারে। জোয়ারে ভাসমান তেল যাতে আর ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
তেল ছড়িয়ে নদী দূষণে হালদার প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা । তবে ভারী বর্ষণে ক্ষতির মাত্রা কিছু কমতে পারে বলে মনে করছেন তারা। হালদা গবেষক প্রফেসর মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা নদীতে যে ফার্নেস তেল প্রবেশ করলো এতে করে নতুন সংকটের মুখোমুখি হলো হালদা।
চট্টগ্রামে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে কিবরিয়া বলেন, এই ফার্নেস তেলটা কয়েকদিন স্থায়ী হলে হালদা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতো। পানি আসার ফলে হালদার ক্ষতির পরিমাণ হয়তো কিছুটা কমে আসবে।