চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ফার্নেস তেলবাহী ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তিন দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি নদীতে পড়া তেল ভর্তি ওয়াগনগুলো। ফলে তেল ছড়িয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদী হয়ে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর দশ কিলোমিটার উজান পর্যন্ত। রেল সচিব এই দুর্ঘটনাকে বড় বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান।
শুক্রবার দুপুরে দোহাজারী পিকিং প্ল্যান্টে ফার্নেস তেল নিয়ে যাওয়ার সময় রেলের ইঞ্জিনসহ চারটি তেলভর্তি ওয়াগন ধলঘাট এলাকায় সেতু ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ টন ফার্নেস তেল ঐ খাল হয়ে কর্ণফুলী নদী ও হালদাতে ছড়িয়ে পড়ে।
ভয়াবহ এ রেল দুর্ঘটনা এবং তেল ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন রেল সচিব, রেল ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রেল সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ সালাহ উদ্দীন বলেন, তেলের যেই পরিমান আছে তা প্রায় ৪৮ থেকে ৫০ টন। এই ৫০ টন তেল পুরোটা এই অঞ্চলে ছড়িয়েছে।
রেল ডিজি আমজাদ হোসেন বলেন, আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তেল পরিবহন থেকে শুরু করে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
তেল ছড়িয়ে পড়ে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর পরিবেশ এবং প্রতিবেশের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পরিবেশ অদিপ্তরের মহাপরিচালক। স্থানীয়ভাবে জনবল লাগিয়ে এবং বন্দরের বোম যন্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইসুল আলম মন্ডল বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি যাতে দুর্ঘটনাকবলিত ইঞ্জিন এবং ওয়াগনগুলোকে উঠিয়ে নেয়া যায়, রেললাইনকে পুনঃ চালু করা যায় আর অপরদিকে তেল যেটা ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পরেছে ওটাকেও যেনো কনটেইন করা যায় ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন ঘোষণা করেছেন, নদী থেকে সংগ্রহ করা এ তেল বিপিসি ৬০ টাকা দরে কিনে নেবে। এরই মধ্যে ১৪টি নৌকা এবং কয়েকশ লোক তেল নিষ্কাশনের কাজ করছেন বলে জানান তিনি।