সাধারণত কোনো বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায় না যে, কোনো ছবি মুক্তির দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহেও দেশের হলগুলোতে দাপট নিয়ে চলছে! কিন্তু ‘আয়নাবাজি’র পর এমনটাই করে দেখাল দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত বহুল আলোচিত ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’। যে ছবিটি মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহে এসেও দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে চলছে দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে।
মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহে ছবিটি চলছে প্রায় অর্ধশত সিনেমা হলে। এরমধ্যে শুক্রবার(২০ অক্টোবর) নতুন ১৫টি হলে ছবিটি মুক্তি পেলো। গত ৬ অক্টোবর ১২৫ হলে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তি পায়। মুক্তির পরপরই ছবিটি সর্বমহলের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ছবিটির হল সংখ্যা বেড়ে যায়। চলে ১২৭ টি সিনেমা হলে। দেশের প্রায় সবগুলো হলেই ছবিটির প্রতিটি শো হাউজফুল যাচ্ছে।
‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সানী সানোয়ার। ছবিতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন মাহিয়া মাহি এবং আরেফিন শুভ। অ্যাকশন থ্রিলার ধাঁচের ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন আলমগীর, আফজাল হোসেন, এবিএম সুমন, হাসান ইমাম, লায়লা হাসান, শতাব্দী ওয়াদুদ, কাজী নওশাবা, শিপন মিত্র প্রমুখ।
পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি লিমিটেড-এর নিবেদনে ছবিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্রি হুইলারস লিমিটেড। স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় ছবিটি পরিবেশনা করছে দি অভি কথাচিত্র। এর কনটেন্ট পার্টনার টাইগার মিডিয়া।
মুক্তির ৩য় সপ্তাহে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ যেসব হলে চলছে:
টানা ৩ সপ্তাহ চলছে-
স্টার সিনেপ্লেক্স (ঢাকা), ব্লকবাস্টার সিনেমা (ঢাকা), বলাকা (ঢাকা), শ্যামলী, রাজমনি (ঢাকা), সেনা (সাভার), রাণিমহল। (ঢাকা), চান্দনা (জয়দেবপুর), ছায়াবানী (নাটোর), ফ্যান্টাসি (উত্তরদিয়াবাড়ি), আলমাস (চট্টগ্রাম), মনিহার (যশোর), উপহার (রাজশাহী), শাপলা (রংপুর), লিবার্টি (খুলনা), সাগরিকা (চালা), সঙ্গীতা (খুলনা), মডার্ন (দিনাজপুর), ছবিঘর (ঝিনাইদহ), মমতাজ (সিরাজগঞ্জ), বীনা (পাবনা), সোনিয়া (বগুড়া), পিক্স (সিরাজদিখাঁন) ও তাজ (গাইবান্ধা)।
টানা ২ সপ্তাহ ধরে চলছে-
আলোরুপা (লালমনিরহাট), উত্তরা (পার্বতী পুর), বি. জি. বি. (কক্সবাজার), মণিহার (মাধবনগর), মিলন (মাদারীপুর) ও কাজলী (মতলব)।
নতুন মুক্তি পেল-
অভিসার সিনেমা (ঢাকা), বি.জি.বি. সিনেমা (সিলেট), সোহাগ সিনেমা (ঘোড়াশাল), মৌচাক সিনেমা (ভাংগুরা), মল্লিকা সিনেমা (উল্লাপাড়া), অন্বেশা সিনেমা (মোকছেদপুর), ময়ূরী সিনেমা (বাগআচরা), লাভলু সিনেমা (আমতলী), বর্ণালী সিনেমা (নোয়াপাড়া), মনোরমা সিনেমা (কাপাসিয়া), মেহেরপুর সিনেমা (মেহেরপুর), রাজলক্ষ্মী সিনেমা (পাতারহাট), আলিম সিনেমা (সেপুপাড়া), রুপসী সিনেমা (ভোলা), রূপকথা (শেরপুর) ও বুলবুল (চিতলমারি)।