মুক্তির আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিল ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ বদলে দেবে হলিউডের সকল হিসাব-নিকাশ। যা ছবিটি মুক্তির আগেই অনেকাংশে সেটা বাস্তব হয়েছে। মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করে তৃতীয় সপ্তাহ চলছে মার্ভেল সিনেমেটিক ইউনিভার্সের ২২তম ছবি অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেমের। কিন্তু তার পরও যেন কোনোভাবেই দাপট কমছে না এর।
সারা বিশ্বব্যাপী এর আয় এখন মিলিয়ন ছাড়িয়ে বিলিয়নে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে ভেঙে ফেলেছে পূর্বের প্রায় সকল রেকর্ড। সারা বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত এর আয় দাঁড়িয়েছে ২.৩০বিলিয়ন ডলার-এর বেশী!
যা ইতোমধ্যেই এখন পর্যন্ত বিশ্বে আয় করা শীর্ষ ছবিগুলো যেমন: টাইটানিক (২.১৮৭ বিলিয়ন), স্টার ওয়ারস : দ্য ফোর্স অ্যাওকেনস (২.০৬ বিলিয়ন) ও অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিটিনিটি ওয়ার (২.০৪ বিলিয়ন ডলার) এর রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এখন বাকি শুধু জেমস ক্যামেরুন পরিচালিত ‘অ্যাভাটার’, যার আয় ছিল ২.৭৮ বিলিয়ন ডলার। আশা করা হচ্ছে ‘অ্যাভাটার’র রেকর্ডও খুব শিগগির ভেঙে ফেলতে পারবে এ ছবিটি।
২০০৮ সালে ‘আয়রন ম্যান’ ছবির মাধ্যমে শুরু হয় মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স (এমসিইউ)। সেই থেকে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ চরিত্রগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী উন্মাদনার সুবাদে এত অল্প সময়ে বিপুল ব্যবসা হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। গত এক দশকে এমসিইউ’র ২১টি ছবির মাধ্যমে প্রত্যেক সুপারহিরোর প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এর সমাপ্তি টানা হয়েছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবিতে। কীভাবে সিরিজটি শেষ হয় তা দেখতেই দর্শকদের কৌতূহল ছিল তুঙ্গে।