চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তৃতীয় মেয়াদে ৪ বছর: ঘুরে দাঁড়ানোর ১৪ বছর

বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার পরিচালনার তৃতীয় মেয়াদে ৪ বছর অতিক্রান্ত হলো। স্বজন হারানো ভগ্ন হৃদয় নিয়েও তিনি অকুতোভয় দৃঢ়তার সঙ্গে এদেশ ১৪ বছর পরিচালনা করলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি দীর্ঘতম সরকার প্রধান।

প্রায় ৮৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষ নিয়ে ১৯৭১ সালে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন রাষ্ট্র যাত্রা শুরু করে। বিধ্বস্ত অবকাঠামো, দীর্ঘ প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা ও তুলনামূলক অনভিজ্ঞ প্রশাসন যন্ত্র, গৃহ ও সহায় সম্বলহীন কোটি মানুষ, অগণিত শহীদ পরিবার, নির্যাতিতা নারী, চারিদিকে যুদ্ধোত্তর আগ্নেয়াস্ত্র, এক দল দেশদ্রোহী রাজাকার-আলবদর, ধনী বিশ্ব সম্প্রদায়ের চরম অসহযোগিতা ও ষড়যন্ত্র নিয়ে জাতির জনক নব রাষ্ট্রের সূচনা করেন। যুদ্ধোত্তর কালের বিশৃঙ্খলা, ভারসাম্যহীন সামাজিক সমস্যা, চরম বামপন্থার নামে চরমতম হঠকারিতা, পুনর্বাসনসহ দেশি-বিদেশি নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জাতির জনক একটি নব সৃষ্ট রাষ্ট্রের নতুন কাঠামো গড়ে তোলেন। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তিনি একটি রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল আইন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে নানা মতবাদ ও পথের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় ঐক্যের সূচনা করেন। তখনই তার ওপর কাপুরুষোচিত আঘাত হেনে বাঙালীর স্বপ্ন ও অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু হয় বিপরীত পথযাত্রা। ভারতের হিন্দুদের প্ররোচনায় পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টি করা যে ভুল ছিল তা প্রমাণের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র উঠেপড়ে লেগে যায়। রাষ্ট্রযন্ত্র এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে সরল ঈমানদার মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধিতার নামে বাংলাদেশ বিরোধিতার ষড়যন্ত্র চলে যথেচ্ছাচার। দুর্ভাগ্যবশতঃ অনেক মানুষ বিশ্বাস করতেন এবং বলতেন, ‘শেখ মুজিব পাকিস্তান ভেঙ্গে ভুল করেছেন এবং পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল।’ এই দুর্ভাগ্যজনক করুণ পরিণতিতে পতিত হয়েছিল লাখো শহীদের গৌরবময় আত্মদান। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রামে বিশ্বাসী বীর বাঙালি হারিয়ে ফেলেছিল সকল স্বপ্ন, বিশ্বাস ও মনোবলের দৃঢ়তা। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে উপনীত হতে চলেছিল কষ্টার্জিত বাংলাদেশ। এমনই এক অন্ধকার সময়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্যাগী, পরীক্ষিত, চরম নির্যাতিত কাউন্সিলরগণ ঐক্য ও শৌর্যের প্রতীক হিসেবে দেশান্তরী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করেন। একই বছর ১৭ মে একটি বর্ষণমুখর বিকেলে লাখো মুক্তিকামী জনতার উচ্চকিত শ্লোগানসিক্ত হয়ে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। রাজনীতির জাদুকর, মৃত্যুভয়শূণ্য জাতিস্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তানকে সামনে পেয়ে মুক্তিকামী ত্যাগী জনতা পুনরায় একাত্তরের অবিনাশী চেতনায় জেগে ওঠে। আশার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র জনপদে।শেখ হাসিনা

৮১ থেকে ৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ এক দীর্ঘ কঠিন পথ অতিক্রম করতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। এই সময়ে চার সরকারের আমলে তাকে যেমন অমানবিক পরিশ্রম করতে হয়েছে, তেমনি তিনি রাজপথে অসংখ্য সহযোদ্ধা হারিয়েছেন, নগ্ন মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে, কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১, ২০০৯ থেকে ২০১৪ এবং ২০১৪ থেকে অদ্যাবধি তিনি প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী। এই ১৪ বছর বাংলাদেশ ও বাঙালীর উন্নয়নের কাল, উত্তরণের কাল, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর কাল। একদা যারা বিশ্বাস করতেন না বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে, বাংলাদেশ সফল হবে। তারা এখন অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের সফলতা দেখে। বাঙালীর নিজের হাঁটুতে ভর করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেখছে। অনেকেই হিংসা করে। সেই মানুষ, সেই ভূমি- শুধু একজন মানুষের দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, কর্মপ্রেম, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও অকুতোভয় সাহসিকতা একটি ভূখণ্ডের, একটি জাতির ভাগ্যের কি ঐতিহাসিক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করতে পারে পৃথিবীতে তার উজ্জ্বলতম উদাহরণ বাংলাদেশ। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সফলতা আজ সর্বব্যাপী। বাংলাদেশের গুটিকতক দেশপ্রেমহীন বুদ্ধি বিক্রেতা ও কিছু নির্বোধ, অর্বাচীন নাগরিক ছাড়া সমগ্র বিশ্বেই বঙ্গবন্ধু কন্যার সফলতা সমাদৃত ও উল্লেখযোগ্য। তার সাফল্য গাঁথা নিয়ে গবেষণা হবে, অনেক পন্ডিত ব্যক্তি অভিসন্দর্ভ রচনা করে উচ্চতর ডিগ্রি ও সম্মাননা লাভ করবেন। আমার আজকের লেখার বিষয় তাঁ সাফল্য গাঁথার গাণিতিক সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নয়। আমার বিষয় তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে একটি জাতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিকথা। বাঙালি ও বাংলাদেশের যত মহৎ অর্জন আশ্চর্যজনকভাবে তার প্রায় সবটুকুই অর্জিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও তার রাজনীতির ছাত্রী ও সন্তান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। স্বাধীনতা অর্জন, রাষ্ট্রের সীমানা বর্ধিত করণ, দেশের সব মানুষের জন্য খাদ্যের সংস্থান, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, গঙ্গার পানি চুক্তি, গরিবের সন্তানের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, প্রতিবন্ধীসহ সকল মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর সিংহভাগ কাজ সম্পাদন, প্রশস্ত মহাসড়ক ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রামে অর্থের প্রবাহ সৃষ্টি, বিদ্যুৎ-কৃষি-শিল্প উৎপাদন, রপ্তানি, রিজার্ভ, জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচনে রেকর্ড সৃষ্টি করে দেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীতকরণ, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, সশস্ত্র বাহিনীর ঈর্ষণীয় সম্প্রসারণ-আধুনিকায়ন করে জাতীয় নিরাপত্তা সুসংহতকরণ, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও কূটনীতিতে মর্যাদাপূর্ণ আসন অর্জন, অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় প্রদান, দেশকে পারমাণবিক ও স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশসহ প্রতিটি বৃহৎ, মাঝারি অর্জনে পিতা-কন্যার প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছে।

আমি একথা বলছি না যে, বাঙালির যত অর্জন তার সবটুকুই জাতির পিতা ও তার কন্যা করেছেন। বাংলাদেশের সকল অর্জন এসেছে দেশের প্রতিটি কর্মজীবী মানুষের বিন্দু বিন্দু ঘাম শ্রম, মেধা,বিনিয়োগ, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ প্রবাহ, জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত দেশপ্রেমিক সৈনিকগণের আয়, রাজনৈতিক কর্মীদের আত্মত্যাগ এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী নাগরিক ও কোম্পানির মেধা, বিনিয়োগ ও শ্রমের অবদানে। জনগণের এই অবদান অস্বীকার করার কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। এই অবদান সব সময়ই ছিল। কিন্তু অন্য সরকারগুলোর আমলে জাতীয় উন্নয়ন হয়নি। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার সফলতার মূল ভিত্তি হলো, তারা এই জনগণকে কর্মমুখী করেছেন, জনতার কর্মে প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা করেছেন, কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন, বিদ্যুৎ, সার সরবরাহ ও ন্যূনতম অবকাঠামো নির্মাণ করে সহায়তা করেছেন- সর্বোপরি সামগ্রিক উন্নয়নের রাষ্ট্রনায়কোচিত ভিশনারী নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। রাজনীতিবিদের অন্তর্নিহিত সফলতা সেখানেই যে তিনি তার জনগণের আস্থা অর্জন করবেন, জনগণকে স্বপ্ন দেখাবেন, উজ্জ্বীবিত করবেন, ঐক্যবদ্ধ করবেন এবং প্রচারিত স্বপ্ন ও জনগণের প্রতি শতভাগ সৎ ও কমিটেড থাকবেন, অন্তর্ভূক্তিমূলক নীতির মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবেন। এই মহৎ কর্মে মহান রাষ্টনায়ক বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছেন।

একটি ছোট্ট উদাহরণ দিতে চাই। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি খাত গার্মেন্টস শিল্পের অনেক মালিক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং সমর্থক। বিএনপি নেত্রী দু’বার দীর্ঘমেয়াদি সর্বাত্মক অবরোধ, হরতাল আহ্বান করলেও বিএনপি সম্পৃক্ত গার্মেন্টস মালিকগণ একদিনের জন্যও শিল্প বন্ধ করেননি। সকল শিল্প মালিক সরকারের সহায়তা নিয়ে সড়ক পথে সমুদ্র বন্দরে মালামাল পরিবহন করেছেন। বিএনপি-জামাতের শিল্পপতিরা রাজনীতির প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন। উৎপাদন ও উন্নয়নের প্রশ্নে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। একারণেই বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন বয়কট করার পরও কোন কার্যকর গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রীর বড় ক্যারিশমা হলো, তিনি দেশ চালান, আওয়ামী লীগ চালান, কখনো কখনো বিএনপিও চলে তার ইচ্ছে মাফিক।

এই সময়ের পৃথিবীর অন্যতম সিনিয়র ও দীর্ঘমেয়াদি সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ছোট দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেও ক্রমশঃ নিজেকে বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তজার্তিক ফোরামে তার সদর্প উপস্থিতি, জ্ঞানগর্ভ সাহসী বক্তব্য ও দ্বিপাক্ষিক সংলাপ তার ও বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে ক্ষমতার জন্য নতজানু না হয়ে বিশ্ব মানব কল্যানে সত্য ও সুন্দরের পক্ষে তার অকুতোভয় সাহসী উচ্চারণ ও সমাজ দর্শন তাকে বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। জঙ্গি দমন, দারিদ্র্য বিমোচন ও পরমতসহিষ্ণু সহাবস্থানের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তার দৃঢ়চেতা অবস্থান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদান ও এই সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘে পথ নির্দেশনা উপস্থাপন তাকে ও বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আজকের মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান নিজ দেশে বাহাদুর হলেও আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে নতজানু। ইরান, কাতার সাহসিকতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করলেও তা হঠকারিতায় পর্যবসিত হয়েছে। আবার অনেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে। মুসলিম উম্মাহর এই দুঃসময়ে শেখ হাসিনা একমাত্র মৃত্যুভয়শূণ্য রাষ্ট্রনায়ক যিনি বিশ্ব ভারসাম্য রক্ষা করে সাহসী ও সত্য উচ্চারণ করছেন। ফলে একই সঙ্গে তিনি মুসলিম উম্মাহ্’র প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছেন।

বাংলার শেখ মুজিব একদিন নিজ মহিমায় স্বীয় মানচিত্র ছাপিয়ে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বে উন্নীত হয়েছিলেন। তার অমর ভাষণ আজ বিশ্ব প্রামাণ্য ইতিহাসে রেজিস্টারভুক্ত হয়েছে; যা বাঙালির জন্য এক পরম গর্ব। বঙ্গবন্ধু উত্তর বাংলাদেশের কোন প্রতাপশালীগণ বিশ্বে কোন গুরুত্ব পাননি। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ দেশ ও জাতির জন্য সেই মর্যাদা এনে দিচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ১৪ বছরের দেশ পরিচালনার কালকে শাসনামল বলে আখ্যায়িত করলে তার প্রতি অবিচার করা হবে। তার এই কালকে সেবা আমল, উন্নয়ন আমল বা উত্তরণের আমল হিসেবে আখ্যায়িত করা উচিত। আজ নিছক রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে প্রকাশ্যে এই কথা অনেকেই সমর্থন করবেন না। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে যেদিন তিনি ইহলোকে থাকবেন না তখন বহু বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা শেখ হাসিনার জীবন, সংগ্রাম, উন্নয়ন, মানবকল্যান, রাষ্ট্র দর্শন, শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে গবেষণা করবেন এবং তাকে রাজনৈতিক অমরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা অগণিত মহৎকর্ম করেছেন, অগণিত অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছেন, মানব কল্যাণে অসংখ্য মহৎ কাজ করছেন। কিন্তু তার সব কাজ ছাপিয়ে আমার দৃষ্টিতে যা সবচেয়ে বড় মনে হয় তা হলো, জাতির পিতার কন্যা মনোবল ভেঙ্গে পড়া, দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে চরম হতাশায় নিমজ্জিত একটি জাতির মনোবল পুনরুজ্জীবিত করেছেন, মাথা উঁচু করে আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকা ও উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জোর কদমে এগিয়ে চলছে। অভিবাদন শেখ হাসিনা। অভিবাদন বাংলাদেশ। উন্নয়নমাতা দীর্ঘজীবী হোন।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)