শুধু তৃণমূল থেকে পাঠানো নামেই চুড়ান্ত হবে না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। যে ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন হবে সেখান থেকে দলীয়ভাবে প্রার্থীদের অবস্থা জানতে গোপন রিপোর্ট আনবে দলটি। আর এ দু’য়ের সমন্বয়েই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন মিলবে প্রার্থীর।
দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বচনের পর সারা দেশে ৬ ধাপে ২২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। মোট ৪ হাজার ২৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭৩৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে প্রথম ধাপে।
দলীয়ভাবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিতে এরই মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। প্রথম ধাপে যে ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন হবে, তার জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে একজন করে নাম প্রস্তাব করেছে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে গঠন করা তৃণমূল কমিটি।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এরা কাকে সমর্থন করবে সেটির উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় কমিটি একটি সুপারিশ পাঠাবে। এছাড়া আমাদের ইউনিয়ন বেসিসে কাদের কি পজিশন জানতে আমাদের ভিন্ন একটি সিস্টেম আছে। যার মাধ্যমে আমরা রিপোর্ট নিয়ে আসবো, যা সিক্রেট থাকবে। সেই রিপোর্ট প্লাস ওখান (তৃণমূল) থেকে যারা পাঠাবে এই দুইটাকে সমন্বয় করে প্রার্থী ঠিক করা হবে।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেউ যদি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চুড়ান্তভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করবে দলটি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। পৌরসভা নির্বাচনে যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিলো তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। এইটা জানার পরও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার মনে হয় না কেউ এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাবে।
দলীয়ভাবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আরো শক্তিশালী হবে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, এর মাধ্যমে দলে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং জয়ের হার বাড়বে।