রানমেশিন তুষার ইমরানকে থামাতে পারছে না কেউ। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের বিপর্যয়ের মুহূর্তে হাল ধরে তুলে নিয়েছেন জোড়া শতক। ক্যারিয়ারে প্রথমবার এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন তিনি।
সিলেটে প্রথম ইনিংসে ১৩০ রান করে সাউথ জোনকে এনে দিয়েছিলেন লড়াকু পুঁজি। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে দল পায় ১০৩ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের যখন বিপর্যয়, ব্যাট হাতে আরেকবার উইকেটে জমে যান তুষার। ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেন। শুক্রবারও তাকে আউট করতে পারেনি প্রতিপক্ষ। ১০৩ রান করে আহত অবসর নিয়েছেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সংখ্যায় বাংলাদেশে তুষারের ধারে কাছেও কেউ নেই। বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে জোড়া সেঞ্চুরি করে নিজেকে আরেকধাপ উচ্চতায়ই নিয়ে গেলেন ৩৪ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। তার ২৮ নম্বর সেঞ্চুরি এটি।
বেশি সেঞ্চুরি তো অবশ্যই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানের মালিকও তুষার। বিসিএলে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হলেন। আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জোড়া সেঞ্চুরি দেখল ১২তম বারের মতো।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইস্ট জোনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪০৩ রান তোলে সাউথরা। পরে ইস্টরা তোলে ৩০০ রান। শেষদিনে সাউথ জোন ৭ উইকেটে ৩১১ রানে থেকে ইনিংস ঘোষণা করে তাতে ইস্টের সামনে ৪১৫ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে তুষারের দল।
১০৩ রানে আহত অবসরে যাওয়া ইনিংসটি ১৪৫ বলে সাজিয়েছেন তুষার। ১২ চার ও ২ ছক্কায়। ২৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করা সৌম্য সরকার ৩৫ রানে সাজঘরে হাঁটা দেন। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৯২ বলে ৬৬ রানের ইনিংস এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের থেকে।