ইউরোপের দেশগুলোতে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন তুরস্কের নাগরিকরা। বুধবার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন। এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসমুখী অভিবাসীদের তুরস্কে ফেরত নেয়ার বিনিময়ে প্রায় সাড়ে সাত কোটি তুর্কি নাগরিক শর্তসাপেক্ষে এই সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।
ইইউ আশঙ্কা করছে, তুর্কি নাগরিকদের ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ না দিলে অভিবাসীদের ঠেকানোর উদ্যোগ বন্ধ করে দিতে পারে আঙ্কারা।
তুরস্ক হয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিপুল সংখ্যক নাগরিকের শরণার্থী হিসেবে আগমন ইউরোপের দেশগুলোর জন্য রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করেছে।
তুরস্কের সাথে সম্প্রতি ইইউর যে চুক্তি হয়েছে তাতে কোনো শরণার্থীর আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন খারিজ হলে তাকে ফেরত নেবে তুরস্ক। তবে তুরস্কে যত সিরীয় অভিবাসীকে আশ্রয় দেবে তাদের মধ্যে প্রতি দুজন থেকে একজনকে নেবে ইউরোপ।
সম্প্রতি তুরস্ক সফরকালে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, শরণার্থীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হয় সেক্ষেত্রে তুরস্ক বিশ্বের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত। তুরস্ক প্রায় ৩০ লাখ সিরীয় অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি।
চুক্তি অনুসারে জুনের শেষ নাগাদ থেকে ইউরোপে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পাবেন তুর্কি নাগরিকরা। এজন্য ৪ মের মধ্যে তাদের ৭২টি শর্ত পূরণ করতে হবে। তুর্কি সরকার বলছে, তারা ইইউর সাথে চুক্তি মোতাবেক সব শর্ত পূরণ করেছে।