তুরস্কে অজ্ঞাত এক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন দেশটিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলভ। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
রাজধানী আঙ্কারায় একটি চিত্রশালায় প্রদর্শনী পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হন রাষ্ট্রদূত। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সিরিয়ায় রুশ অভিযানের প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভের একদিনের মাথায় রুশ রাষ্ট্রদূত নিহত হলেন।
কয়েকটি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, খুনিকে পুলিশ হত্যা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
তুর্কি পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারী একাই ছিল এবং আমি এখান থেকে জীবিত ফিরব না বলতে শুনেছি। রাষ্ট্রদূতকে গুলি করার পর হামলাকারী সিরিয়ার আলেপ্পোর পরিস্থিতি নিয়ে চিৎকার করে কিছু বলছিল।
গুলি চালানোর পর আততায়ীকে বলতে শোনা যায়, ‘আলেপ্পোকে ভুলো না, সিরিয়াকে ভুলো না। আলেপ্পোতে আমরা মরছি, তুমি এখানে মর।’
রাষ্ট্রদূতকে লক্ষ্য করে আটটি গুলি ছোঁড়া হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অন্য সব অতিথিকে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয় হামলাকারী। এরপর গ্যালরিতে আরো কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ চলে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারি যুবকও নিহত হয়েছে।
হামলার মোটিভ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশের পরিচয়পত্র দেখিয়ে সে গ্যালারিতে প্রবেশ করে। ঘটনায় পরপরই তুস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়ুল। ৬২ বছর বয়সী আন্দ্রেই কারলভ ২০১৩ থেকে তুরস্কে রুশ রাষ্ট্রদূত হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাখারোফা বলেছেন, এই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ সহ্য করা হবে না।
আর রুশ সংসদের একজন সদস্য লেওনিদ স্লাটস্কিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, কারলফের হত্যার পরও মঙ্গলবার মস্কোতে সিরিয়ার সঙ্কট নিয়ে রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে আলোচনা চলবে।
সিরিয়ার সঙ্কট নিয়ে তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যে বিবাদ চলছে।
সিরীয় সরকারের প্রতি রাশিয়ার সমর্থনের প্রতিবাদে ইস্তানবুলে রুশ দূতাবাসের বাইরে সম্প্রতি বিক্ষোভ হয়েছে।
তবে আলেপ্পোয় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তুরস্ক ও রাশিয়া সরকার সহযোগিতার ভিত্তিতেই কাজ করছিল।
রুশ রাষ্ট্রদূতকে গুলি করার ভিডিও-