শুক্রবারের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের চতুর্থ দিনেও চলছে ব্যাপক গ্রেফতার-ধরপাকড়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী কথিত ওই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে প্রায় ৮ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে এরদোগান প্রশাসন।
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য নির্বাসিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বিবিসির বিশ্লেষণে গুলেনের প্রতি তুর্কি পুলিশের বড় একটি অংশের সমর্থন থাকায় এখন তারাই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
এর আগে শনিবার ভোর থেকেই গ্রেফতার হতে থাকেন একের পর এক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা এবং তুর্কি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা। বিচারক ও সেনাসদস্য মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তিকে আটক করে মুখোশধারী নিরাপত্তাকর্মীরা।
ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ভাইরাস’ দূর করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এই ঘোষণার পর অভিযান চলছে পুলিশ এবং সেনা স্থাপনায়। সোমবার সকালেও অভিযান চালানো হয় ইস্তাম্বুলের তুর্কি বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম জানান, শুক্রবারের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে ২’শ জন ‘শহীদ’ হন। এদের মধ্যে ৬০ জন পুলিশ, ৩ জন সেনাসদস্য এবং ১’শ ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক।
অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারী ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে নিহতের এই সংখ্যা আগের প্রকাশিত নিহতের সংখ্যার তুলনায় বেশ কম বলে জানিয়েছে বিবিসি।