তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার পর দেশটির মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়া ঠেকানোর ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫শ’ কোটি ইউরোর চুক্তি ভাঙ্গনের মুখে। কেননা অভিবাসীরা এখন যুক্তি দেখাতে পারবে, তুরস্কে তাদেরকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ নয়।
এর আগে নতুন আসা অভিবাসী সবাইকে তুরস্কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ভূমধ্যসাগর পার হয়ে গ্রিসে যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা লক্ষ্যণীয় হারে কমে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবারের সেনা অভিযান প্রচেষ্টার পর তুরস্কে সৃষ্ট অস্থির পরিস্থিতির কারণে নতুন অভিবাসীদের স্রোত নিজেরাই সামলাতে তৈরি হচ্ছে ইউরোপ।
সেনা অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার পরই অভ্যুত্থানের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থান চেষ্টায় ক্রোধে ফুঁসে ওঠা জনগণের সামনে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানটি তার সরকারের জন্য স্রষ্টার আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এ সুযোগে তিনি দেশের সরকার ও প্রশাসন থেকে বিদ্রোহের ‘ভাইরাস’ নিশ্চিহ্ন করে দেবেন।
এর অংশ হিসেবে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ভেঙ্গে পড়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত ৬ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহত ২৯০ জনের মধ্যে শতাধিক বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী বলে জানায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে জার্মানিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুয়েতে দায়িত্বরত এক উচ্চপদস্থ তুর্কি সেনা কর্মকর্তাকে সৌদি কর্তৃপক্ষ আটক করেছে। মিকাইল ইহসানোগলু নামের ওই সেনা কর্মকর্তা ওই সময় নেদারল্যান্ডসের অ্যামস্টারডাম হয়ে জার্মানির দুসেলডর্ফ যাওয়ার জন্য দাম্মাম বিমানবন্দরে প্লেনে চড়তে যাচ্ছিলেন।
এছাড়াও ব্ল্যাকহক মিলিটারি হেলিকপ্টারে করে তুরস্ক থেকে গ্রিসে পালিয়ে যাওয়া সেনা সদস্যদের রোববার আটক করা হয়। তাদের গ্রিসের আলেক্সান্দ্রোপলিসে প্রসিকিউটর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।