চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তুরস্কের পাশে থাকবে চীন

নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষায় তুরস্কের উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছে চীন। এই ‘সাময়িক সমস্যা’ তুরস্ক কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে ধারণা চীনের।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার টেলিফোনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ও তুরস্ক কৌশলগত যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করতে চায়।

এর আগে গত শুক্রবার তুরস্ক ইস্যুতে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দেয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া ওই বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতি নৈতিক সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

তুরস্কে কারাবন্দী নিজেদের এক যাজককে হস্তান্তর না করা নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। যাজককে হস্তান্তর না করায় যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের পণ্যের ওপর শুল্ক দ্বিগুন করে।

এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বেশকিছু পণ্যের ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় তুরস্ক। প্রতিশোধ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াট ওক্তাই।

শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণাপত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান স্বাক্ষর করেন।

এতে দেখা গেছে, গাড়ির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০ শতাংশ, মদের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৪০ শতাংশ ও তামাক পাতার শুল্ক করা হয়েছে ৬০ শতাংশ।

এছাড়াও কসমেটিকস, চাল ও কয়লার ওপরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। তুরস্ক এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেয়।