দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল কানাডা। জ্যামাইকাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ১৯৮৬ সোলের পর দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ খেলার টিকেট কেটেছে কানাডা।
উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় তিনটি দল। বিশ্বকাপে খেলতে জ্যামাইকার বিপক্ষে একটি ড্র প্রয়োজন ছিল কানাডার। এমন সমীকরণে জামাইকাকে বিধ্বস্ত করেছে জন হার্ডম্যানের শীর্ষরা।
কানাডার ঘরের মাঠ বিএমও ফিল্ডে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব ছিল হার্ডম্যানের দলের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে কাইল লরিনের গোলে লিড নেয় কানাডা। এরপর একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোল আসছিল না। বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তাজন বুকাননের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কানাডা।
বিরতি থেকে ফিরে সমতায় ফিরার চেষ্টা না চালিয়ে রক্ষণ সামলানোয় মনোযোগ দেয় জ্যামাইকান শিবির। তবে ছন্নছাড়া আক্রমণে গোল পেতে সময় নিচ্ছিল। একের পর এক সহজ সুযোগ মিস করেছে কানাডার আক্রমণভাগ।
ম্যাচের ৮২ মিনিটের সময় জ্যামাইকান রক্ষণের মনোযোগে বিগ্ন ঘটিয়ে দলকে আবারও উল্লাসে মাতান জুনিয়র হোইলেট। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে জ্যামাইকান রক্ষণ আদ্রিয়ান মারিয়াপ্পা নিজেই নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান ৪-০ করেন। এ জয়ে দীর্ঘ ৩ যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটাল কানাডা। এর আগে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল কানাডা।
দারুণ জয়ে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের প্রথম দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট কেটেছে কানাডা। ১৩ ম্যাচে ৮ জয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে কানাডা। সমান ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট তুলে গোল ব্যবধানে মেক্সিকোর থেকে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা কোস্টারিকার এখনো সুযোগ রয়েছে। তবে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। একই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে মেক্সিকোর হারের দিকে। মেক্সিকো জিতলে প্লে অফের দ্বারস্থ হতে হবে কোস্টারিকাকে।