দেশের শতকরা ৯৩ ভাগ ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত হয় পার্বত্য তিন জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবানে। এর মধ্যে ৬০ ভাগের বেশি বান্দরবানে সনাক্ত হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্গম-প্রত্যন্ত অঞ্চলে আক্রান্তদের সনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
দীর্ঘদিন ধরে জ্বরসহ ম্যালেরিয়ার উপসর্গে ভুক্তভোগী বান্দরবানের এক বম নারী জানান, টাকার বিনিময়ে ম্যালেরিয়া ভালো করে দেবার আশ্বাসে স্থানীয় এক হাতুড়ের পরামর্শে তিনি পার করেন আরও কিছুদিন।
পরে অবশ্য তিনি স্থানীয় মাঠ স্বাস্থ্য কর্মীদের সহায়তায় চিকিৎসার আওতায় আসেন বলে জানান স্থানীয় বালাইঘাটের এক স্বাস্থ্যকর্মী।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা: অংসুইপ্রু মারমা জানান, বান্দরবানের রুমা উপজেলার সুংছাং পাড়া, রুমানা পাড়া, দার্জিলিং পাড়া, থাইখ্যাং এবং মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষে জাইছাইখ্যাং এর মতো প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের অনেকে এই বম নারীর মতোই ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
গ্লোবাল ফান্ডের সহায়তায় ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত করে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে সরকারিভাবে ‘ইডিপিটি’ কার্যক্রম চলছে। বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে মশারি।
তবে ওষুধের কোর্স শেষ না করা এবং মশারি ব্যবহারে প্রত্যন্তের মানুষদের অনীহা আছে বলে অভিযোগ করেন ডা: আকতারুজ্জামান।
এমন বাস্তবতায় বান্দরবানের দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে ম্যালেরিয়া সচেতনতায় অবলম্বন করা হচ্ছে স্থানীয় নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতিকে।
বান্দরবান প্রতিনিধি হাসান ইসমাইলকে নিয়ে জান্নাতুল বাকেয়া কেকার ভিডিও রিপোর্টে দেখুন বিস্তারিত: