অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় ক্যাসিনোতে গিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। এবার সাউথ আফ্রিকায় ক্যাসিনোতে গিয়ে আলোচনায় তিন ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলাম। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সদ্য বিদায়ী সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
টিম ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কাছ থেকে নাজমুল হাসান যে তথ্য পেয়েছেন তাতে ক্যাসিনোতে গিয়ে খেলেছেন (জুয়া) তার সত্যতা মেলেনি। তবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করে নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধা ঘণ্টা পর টিম হোটেলে ঢুকেছেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে মঙ্গলবার নাজমুল হাসান সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘নিউজ হওয়ার মতো ব্যাপার হয়েছে, কারণ ওরা ক্যাসিনোতে গেছে। কিন্তু ক্যাসিনোতে মানুষ যায় খেলতে, ওরা খেলতে যায়নি। সকলেই বলছে ওরা খেলেনি।’
টিম ম্যানেজারের লিখিত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে চান না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হলে কিছু করা যেত। তিনজন খেলোয়াড় যেহেতু এখনই কিছু বলছি না। অবশ্যই এটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাজমুল হাসান জানান, বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে ছিলেন সাউথ আফ্রিকার দুই ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কাগিসো রাবাদা।
‘খবরটা পেয়েছি আজ বোর্ডে এসেই। খেলোয়াড়রা রাত ১০টার পর বাইরে থাকতে পারে না। টিম হোটেলের সামনেই একটা শপিং মল আছে। ওখানটায় নাকি খেতে গিয়েছিল ওরা। যাওয়ার পর ডি ভিলিয়ার্স ও রাবাদার সঙ্গে দেখা হয়। ওখানে গল্প করে, ওদের সঙ্গেই ওরা ক্যাসিনোয় যায়। খেলতে যায়নি বা খেলেনি ওরা। ১০টার মধ্যে ফেরার কথা, ১০টা ৩৪ এ হোটেলে পৌঁছায়। এখন সিরিজ চলছে, তাছাড়া টিম ম্যানেজারের রিপোর্টও পেতে হবে। সেটা দেখার পরে যা করার তাই করব।’
টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর ওয়ানডে সিরিজে যে দিন হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ সে রাতেই ক্যাসিনোতে যান তিন ক্রিকেটার। ইস্ট লন্ডনের প্রিমিয়ার হোটেল আইসিসি থেকে বের হন রাত ৯টার দিকে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় টিম মিটিং করবে সাকিব আল হাসানের টি-টুয়েন্টি দল। স্কাইপির মাধ্যমে মিটিংয়ে যোগ দেবেন নাজমুল হাসান। সবার সঙ্গে কথা বলবেন টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের হতাশা ভুলে কীভাবে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ভাল করা যায়।