বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের শুরুর ভাগটা চ্যাম্পিয়নদের মতো হল না রংপুর রাইডার্সের। টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জার সামনে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছে তারা। ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল গুণে দলীয় স্কোরে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেনি দলটি। অলআউট হয় ৯৮ রানে।
টস হার দিয়ে শুরু। ওপেন করতে নেমে আবু জায়েদ রাহির করা প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারলেন না মেহেদী মারুফ। রাহির প্রথম ওভারের মতোই ছবি হয়ে থাকল রংপুরের পুরো ইনিংস।
ম্যাচের দিন সকালে এসে পৌঁছানোর কারণে খেলতে পারেননি ক্রিস গেইল। ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস থাকলেও ঝড় উঠল না। মারুফ প্রথম ওভার কাটিয়ে দেয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পান হেলস। রবি ফ্রেইলিঙ্কের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি সময়মতো ব্যাট চালাতে ব্যর্থ হলে আঘাত হানে প্যাডে।
জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ থাকলেও নেননি হেলস। রিপ্লেতে দেখা যায় আম্পায়ার্স কলে আউটই থাকতেন ইংলিশ তারকা।
ষষ্ঠ আসরে প্রথম উইকেট নেন ফ্রেইলিঙ্ক। দ্বিতীয় উইকেটটাও যায় এই সাউথ আফ্রিকানের নামে পাশে। একই ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। হেলসের মতো তিনিও ব্যর্থ হন রানের খাতা খুলতে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপদ আরও বেড়ে যায় তৃতীয় ওভারে প্রোটিয়া মারকুটে ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে। মাত্র ১০ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর।
দলীয় ১৪ রানে সেই ফ্রেইলিঙ্কের শিকার হন মারুফও। সানজামুলের হাতে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। পরে নাঈমের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফ্রান্সে জন্ম নেয়া ইংলিশ বিনি হাওয়েল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হওয়া হাওয়েল করেন ৮ রান। দলীয় ৩১ রানে দলকে বিপদে ফেলে ফরহাদ রেজাও (৩)।
দলের বিপদের দিনে ব্যাটে হাতে দাঁড়াতে পারেননি অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ম্যাশ ফেরেন ২ রান করে।
রংপুরকে একা হাতে টেনেছেন রবি বোপারা। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। বোপারাকে যা একটু সঙ্গ দিয়েছেন সোহাগ গাজী। ১৭ বল মোকাবেলায় ২১ রান করেছেন তিনি। গাজীই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি বলের চেয়ে রান বেশি করেছেন।
চট্টগ্রামের হয়ে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সফল বোলার ফ্রেইলিঙ্ক। নাঈম হাসান নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাহি ও খালেদ আহমেদ।