এবারের ঈদ যাত্রায় কোন রকম ভোগান্তি ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গগামী পরিবহনগুলো চলাচল করেছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা।
বিগত ঈদগুলোতে এই মহাসড়কে যানজটে পড়ে নাকাল হতে হয়েছিল মানুষজনকে। তবে এই ঈদে বাড়ি ফেরার চিত্র ভিন্ন। নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়ি ফিরছে তারা।
ঈদের ছুটিতে গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) থেকে রোববার (০১ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত তিদিনে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯০টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, এবার ঈদে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশি। বিগত কয়েকদিন সেতু এলাকায় পরিবহনের ব্যাপক চাপ ছিল। সেতুর সবগুলো টোল বুথ চালু ছিল। এছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য টোলপ্লাজার দক্ষিণপাশে আলাদা দুইটি টোল বুথ স্থাপন হয়েছে। গত তিনদিনে ৯ কোটির অধিক টাকা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে।
এর মধ্যে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে ২১ হাজার ১৩৩টি। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় ৯ কোটি দুই লাখ ২ হাজার ৭৫০ টাকা টোল আদায়ের কথা জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গগামী পরিবহন বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়েছে ৭১ হাজার ৯৫৬টি যানবাহন।
জেলা পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি উত্তরবঙ্গগামী মানুষজনের। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত এক লেনে চলেছে পরিবহন। এতে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলো সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। ফলে চাপ পড়েনি মহাসড়কে।
এছাড়া, ঈদের ছুটিতে ঢাকার গার্মেন্সগুলো পৃথক পৃথক সময়ে ছুটি দেয়ায় মহাসড়কেও প্রভাব কম পড়েছে। এতে এক রকম স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে তারা। বিগত ঈদগুলোর মত মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।
মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহনের চালকরা জানান, ধারণা ছিল ঈদে যানজটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। কিন্তু ভোগান্তি হয়নি। সাধারন সময়ের মতো গন্তব্যে পৌছানো গেছে। তবে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত সড়কে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।