তার নাম মো. রিফাত আহম্মেদ ওরফে রুবন। বছর তিরিশের এই যুবক কখনো নিজেকে পুলিশের ডিআইজি, আবার কখনো এডিসি পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। আর তার প্রতারণার মাধ্যম ছিল অনলাইন ব্যাংকিং।
গতকাল শনিবার সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম অভিযান চালিয়ে দিনাজপুরের পাহাড়পুর তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
পরের দিন রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির পুলিশ সুপার শারমিন জাহান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিফাত আহমেদ (Rifat Ahamad) নামে ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডির প্রোফাইল এবং কভার পিকচারে পুলিশের ছবি ব্যবহার করে।
বিভিন্ন সময়ে ফ্রি-ল্যান্সিং করতে সেই ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়েছে। ফেসবুকে নিজেকে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার এবং সিআইডির অফিসার পরিচয় দেন।’
‘‘এসব বিষয় সাইবার মনিটরিং টিম পর্যবেক্ষণ করে শনাক্ত করার চেষ্টা করে। এরইমধ্যে সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু ব্যক্তি ওই আইডি সম্পর্কে অভিযোগ করে। তারা জানায় নামক ফেসবুক ব্যবহারকারী নিজেকে পুলিশের এডিসি পরিচয় দিয়ে তাদের ফ্রি-ল্যান্সিং করার জন্য তাদের কাছ থেকে রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১০ থেকে ২০ হাজার করে টাকা নিচ্ছে।’’
তিনি বলেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম রিফাত আহমেদের ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য উদঘাটনের কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায় দিনাজপুর জেলার পাহাড়পুরে বসে রিফাত ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডিটি পরিচালনা করছে।
পরে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত জানায়, কয়েক মাস ধরে ২০ থেকে ৩০ জনের কাছ থেকে কখনো পুলিশের ডিআইজি আবার কখনো এডিসি পরিচয় দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়ে সিআইডি জানায়, কেউ যদি এই ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়ে থাকেন, তাহলে সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।