পাঁচ বছর পর দেশে এসেছে রুদ্র। চেনা রাস্তা আর চেনা পরিবেশে হাঁটতে আর ফেলে আসা দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে তার। হঠাৎ দেখা হয় অবন্তিকার সঙ্গে। সেই অবন্তিকা যে অবন্তিকা হয়তো রুদ্রকে একটা সময় ভালোবাসতো। কিন্তু রুদ্র তো আর ঘর বাঁধার মানুষ না। ফটোগ্রাফিকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়ায় কখনো পাহাড়, কখনো সমুদ্রে কিংবা কখনোবা অজানা কোনো সবুজের অবগাহনে। এই রুদ্রর সাথে আবার পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পৃথার।
পৃথা হচ্ছে রুদ্রর ছোট খালার মেয়ে। পারিবারিকভাবে একটা সম্পর্ক থাকায় পৃথা আর রুদ্র সবসময় একসাথে চলাফেরা করেছে। সেই চলাফেরার ফাঁকে পৃথা যে কখন মনের অজান্তে রুদ্রকে ভালোবেসে ফেলেছে, সেটা সে নিজেও জানে না। পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা আসতেই রুদ্র কোথাও যেন হারিয়ে যায়। আর অন্যদিকে রুদ্র অবন্তিকাকেও কোনকিছু না বলে চলে যায় বিদেশে। পাঁচ বছর দেশে আসার পর অবন্তিকা ও পৃথা দুজনই আবার রুদ্রর সামনে হাজির হয়।
কিন্তু রুদ্র তো এই জীবন চায় না। একই বৃত্তে হাঁটতে নারাজ সে। বোহেমিয়াম জীবনটাকেই সে সঙ্গী করতে চায়। তাই তো একটি চিঠি রুদ্র লিখে যায় অবন্তিকা ও পৃথার জন্য। কি লেখা থাকে সেই চিঠিতে? এমনি গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বুক বকেটের গল্প’। এটি রচনা করেছেন সৈয়দ ইকবালের রচনা ও রাইসুল তমাল।
নাটকে রুদ্র চরিত্রে অপূর্ব, অবন্তিকা চরিত্রে অর্ষা এবং পৃথা চরিত্রে রুহী অভিনয় করেছেন। আরো অভিনয় করেছেন আশরাফুল আলম সোহাগসহ অনেকে। সম্প্রতি নগরীর উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়। রানী গুড়া মসলা নিবেদিত, পাওয়ার্ড বাই গোল্ড মার্ক বিস্কুট ও থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি প্রযোজিত নাটকটি খুব শিগগির একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখা যাবে।