অনুসন্ধান, তথ্য সংগ্রহ, সত্যতা যাচাই-য়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয় সংবাদ কর্মীকে। এরপরেই বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন উপস্থাপনের মাধ্যমে পাঠক-দর্শকদের সংবাদ জানার ক্ষুধা মেটান তারা। কিন্তু সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়া বিভিন্ন সূত্রের বরাতেও সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা যায়। যার সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখেছেন চ্যানেল আই এর বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান।
‘সাংবাদিকরা নিজেরা কবে খতিয়ে দেখবেন?’ শিরোনামে তিনি লিখেছেন,
“গণমাধ্যমের রিপোর্টে প্রায়ই আমরা দেখি, ‘অমুক সূত্র জানিয়েছে’ বলে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই কারো সম্পর্কে ভয়াবহ সব কথা-বার্তা বলে দেয়া হয়। সেসব পড়ে বা শুনে সাধারণ পাঠক-দর্শক-শ্রোতা সেই ব্যক্তি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা করে বসে থাকেন। কেন না, মানুষ এখনও এমন বিশ্বাস করেন যে, সাংবাদিকরা তাদের চেয়ে বেশি জানেন।
রিপোর্টের শেষের দিকে আরো কিছু ভয়াবহ কথা বলে বলা হয়, ‘বিষয়টি গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।’ প্রশ্ন, তাহলে সাংবাদিকতার কাজটা কী? অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্য প্রকাশই কি সাংবাদিকতার কাজ নয়?
যে যার সম্পর্কে যা-ই বললো, কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া সে সবই যদি চালিয়ে দেয়া হয়, তাহলে আমরা আম জনতা-পাঠক-দর্শক-শ্রোতা ‘অমুক সূত্র’ বা গোয়েন্দাদের কথা সরাসরি শুনবো। মাঝে পত্রিকা-রেডিও-টেলিভিশন-সাংবাদিকের দরকার কী?”
সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক মোবাশ্বের হাসান সিজার নিখোঁজের ঘটনায় প্রকাশিত একটি সংবাদ নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে সংবাদটি দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকা প্রচার করে।