আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফে সেনা ঘাঁটি তালেবান হামলায় নিহতদের স্মরণে দেশটিতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। সেনা ঘাঁটির খাবার ঘর এবং পাশের মসজিদে চালানো ওই ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে দেড়শ’ সেনা সদস্য নিহত হন।
শনিবারই নিহতদের দাফন শুরু হয়। নিহতের সংখ্যার ব্যাপারে বালখ প্রদেশের প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য ইব্রাহিম খাইরানদিশ শোকাহত হয়ে বলেন, ‘আজ এখানে কফিনের পর্যন্ত অভাব দেখা দিয়েছে।’
নিহতের সংখ্যা এমনকি ২শ’ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন, এ ধরণের হামলা সব ধরণের মানবিক নৈতিকতা এবং ইসলামিক শিক্ষার বিরুদ্ধ।
শুক্রবারের হামলাটি আফগান সামরিক ঘাঁটির ওপর এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় এবং দেশটির গত ১৬ বছরের যুদ্ধে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দেশটির সেনা মুখপাত্র নাসরাতুল্লাহ জামশিদি বলেন, বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের ভিতরে মসজিদে এবং ঘাঁটির ভেতর খাবার ঘরে এই হামলা চালানো হয়। তখন মসজিদে সেনা সদস্যরা নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন। অন্যদিকে খাবার ঘরে আরও বহু সেনা সদস্য খাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর দু’টি গাড়িতে হামলাকারী দশজনের মতো ব্যক্তি সেনাবাহিনীর চেকপয়েন্ট পার হয়েই ঘাঁটিতে ঢোকে। ঢোকার আগে ঘাঁটির গেটে হামরাকারীরা দারোয়ানকে বলেছিল, তারা আহত সৈন্য নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত তাদের প্রবেশ করতে হবে। তাদের সবার পরনে সেনাবাহিনীর পোশাক ছিল।
হামলায় রকেটচালিত গ্রেনেড এবং রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানায় রয়টার্স। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, দশ হামলাকারীর কয়েকজন প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করা নিরস্ত্র সেনাদের ভীড়ে আত্মঘাতী বোমারও বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলার পরই জঙ্গি সংগঠন তালেবান দায় স্বীকার করে।