টি-টুয়েন্টিতে ১৪৩ খুব ছোট সংগ্রহ? হয়ত নয়! আবার খুব বড়ও তো নয়। তবে চিটাগং ভাইকিংসের শুরুটা যেমন হয়েছিল তাতে সংগ্রহটা আরও বড়র প্রত্যাশাই ছিল নিঃসন্দেহে। সেটি হয়নি, যেমন বড় হয়নি সৌম্য সরকারের অমিত সম্ভাবনার ইনিংসটাও। কুমিল্লার বোলিংয়ে আলো কেড়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মাঝে শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান জমা করেছে চিটাগং। যেটা দেখে বোঝা যাবে না কী দুর্দান্ত শুরুটাই না করেছিল ভাইকিংসরা।
চিটাগংয়ের ‘আইকন’ সৌম্য সরকার ও লুক রঞ্চি মিলে ৬ ওভারেই যোগ করেছিলেন ৬৩। শুরুর ঝড়টা রঞ্চির ব্যাটেই। ৪ চার ও ৩ ছয়ে ২১ বলে ৪০ তুলে কাপালির দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফিরেছেন নিউজিল্যান্ড তারকা।
সৌম্যর সঙ্গী তখন দিলশান মুনাবিরা। তাতে ১২ ওভারেই একশ পেরোয় ভাইকিংস। মুনাবিরা ২১ করে ফিরলেও সৌম্যকে ঘিরে আশার আলো জমাট বাঁধছিল। লম্বা রানখরার পর সাউথ আফ্রিকা সফরের টি-টুয়েন্টি সিরিজে দারুণ ব্যাট চালিয়েছেন টাইগার উদ্বোধনী। সেটা টেনে আনলেন বিপিএলের মঞ্চেও। তবে ওই একই রোগ, টেনে নিতে পারলেন না চূড়ায়! ৩৮ রানেই সাজঘরে সাউফউদ্দিনের বলে উদ্ভাবনী শট খেলতে যেয়ে সম্ভাবনার অপমৃত্যু ৩ চার ও এক ছয়ের ৩৩ বলের ইনিংসের।
তালগোল পেরিয়ে পরে আর খুব বেশি এগোয়নি ভাইকিংসের ইনিংস। সেখানে ম্যাচে ফেরার সুযোগটা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলাররা। সবচেয়ে সফল অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট টাইগারদের জাতীয় দলে এসে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখানো এই পেস তারকার।